Saturday, October 5, 2024

এগিয়ে যাই সম্মুখে দৃঢ়প্রত্যয়ে

গত ১৮ই সেপ্টেম্বর একটা মটর সাইকেল চুরির মতো একেবারেই ছোট একটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়ি রাঙ্গামাটিতে সংঘটিত হয়ে গেল ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত।পুড়েছে ঘড়বাড়ী-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, আবাসস্থল।আক্রান্ত হয়েছে ধমী'য় স্থান,মারা গেছে চারজন আহত অনেক।যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তারা বাহিরের কেহ নয়, নয় কোনো ভীনদেশী।তারা একে অপরের বন্ধু-সহপাঠি-সহকমীপ্রতিবেশী সবার সমান অধিকারে বাংলাদেশের নাগরিক বাংলাদেশী।গনমাধ্যম থেকে জানা যায় মামুন নামে বাঙ্গালী একযুবক উপজাতীয় একজনের মটর সাইকেল চুরি করতে গিয়ে হাতে নাতে ধরা পড়ে এবং উপজাতীয়দের গণপিটুনীতে মারা যায়।ঘটনার প্রতিবাদে বাঙ্গালীরা মিছিল করলে মিছিলে হামলা করা হয়।সেখান থেকে শুরু আত্মঘাতী সংঘাত।সেনাবাহিনী অবস্থা নিয়ন্ত্রনে আসলে তাদের প্রতি গুলি ছোড়ার ঘটানাও নাকি ঘটেছে।প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারী করে আর উপজাতীয় সংঘঠন তিন দিনের অবরোধ ডাক দেয়।ঢাকা থেকে স্বরাস্ট্র উপদেষ্টার নেতৃত্বে প্রতিনীধিদল গিয়ে আলাপ আলোচনায় তদন্ত কমিটি গঠন এবং তদন্তে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির নিশ্চয়তায় পরিস্থতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছিল।প্রশাসন ১৪৪ ধারা তুলে নেয়।মানুষের মনে আস্থার অভাব এবং শংকা থাকলেও আশা করেছিল এখানেই সব হিংসা-হানাহানির হবে অবসান।কিন্তু নাহ, সকলকে হতাশ করে খাগাড়াছড়িতে ১লা অক্টোবার, মঙ্গলবার দুপুরে এক শিক্ষককে উপজাতীয় ১০-১৫ জন তরুন পুলিশের কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে।অভি্যোগ টেকনিক্যাল স্কুলের পাশে শিক্ষকের থাকার কক্ষে সপ্তম শ্রেনীর এক পাহাড়ি ছাত্রীকে ধষ’ন করেছেন।সংবাদে এক ছাত্রের উদ্ধৃতিতে জানা যায় ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারীতে দশম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধষ’নের অভিযোগ এনে এই শিক্ষককে ফাসানো হয়েছিল এবং তাতে বেশ কিছুদিন জেলহাজতে ছিলেন।ফলে চারিদিকের পাহাড়ি-বাঙ্গালী উত্তেজনা থামাতে প্রশাসন দ্রুত আবারও ১৪৪ ধারা জারি করে এবং নিরাপত্তা টহল জোরদার করায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে থাকায় শেষ খবর পাওয়া পয্য’ন্ত প্রশাসন ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।  

এমন ঘটনা সারা বাংলাদেশে প্রতিদিনই ঘটছে।ছেলে বাপকে মারছে, ভাই ভাইকে মারছে,বন্ধু বন্ধুকে  মারছে।বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে মানুষ পিটিয়ে মারছে প্রতিবাদ হচ্ছে মিছিল হচ্ছে, থানায় মামলা হচ্ছে।প্রসাশন অপরাধীকে আইনের আওতায় আনছেন।দেশের পাবত্য’ঞ্চলেও এই অমানবিক প্রবৃতি হামলে পড়েছে।চোর ডাকাত খুনি যেই হওক আইন নিজের হাতে তুলে গণপিটুনি দিয়ে মারা কোনো সভ্যতায় পড়ে না।পাশাপাশি দুটি খালি কলসী রাখলেও ঠুকাঠুকি হয়।কাম-ক্রোধ-লোভে ভরা মানুষের সমাজে এমন ঠুকাঠুকি না হবার কথা নয়।অপরাধ দমনে সেই জন্য রয়েছে প্রশাসন ।যে কোনো অপরাধে ব্যক্তিই অপরাধী তার কোনো জাত নাই ,ধম’ নাই তাকে শাস্তি দিতে হবে তার জন্য আইন আছে থানা পুলিশ আছে,আইন কেন নিজেদের হাতে তুলে নিতে হবে?তেমনি অপরাধীকে শাস্তি দিতে হবে কিন্তু তার পিতা-মাতা–আত্মীয়স্বজন তো নয়ই তার গোত্র স্বজনদের দায়ী করে তাদের উপর আক্রমণ কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না।মেনে নেওয়া যায় না হত্যার প্রতিবাদে মিছিলে আক্রমণ করা।মনে হয় মানুষের বিবেক যেন আজ অকায’কর হয়ে যাচ্ছে,মানুষের মনুষত্ব লোপ পেয়ে পশুত্ব গ্রাস করে ফেলেছে।এখন ভাবতে হবে পাহাড়ে এতো বেশি ঘন ঘন হানাহানি কি স্বাভাবিক নাকি কোনো দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের ক্ষেত্র তৈরী হয়েছে পাহাড়ি জনপদ ?

মাস না পেরুতেই আমরা ভুলে গেছি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র  আন্দোলনে আমাদের ইস্পাত কঠীন ঐক্যের কথা।ভুলে গেছি নিহত ছাত্র-জনতার কথা, ভুলে গেছি হাসপাতালের বেডে আহতদের যন্ত্রনাকাতর মুখ গুলির কথা।যে রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য এতো ত্যাগ,আমরা কি পারলাম নিজেদের সংস্কার করে তার মুল্য দিতে?৭১সালের সেই সকল শহীদদেরও মনে রাখি নাই।তাদের অবদানকে মূল্য দিতে পারি নাই।তাই সত্যিকার স্বাধীনতার স্বাদও পাই নাই।এতো বছর যারা স্বৈরাচারের জেল-জুলুম,অত্যাচার নিপীড়ন নিযা'তনের শিকার হয়েছেন।মামলা-হামলা গুম-খুনের ভয়ে পালিয়ে বেড়িয়েছেন।আজ তাদের প্রথম কাজ ছিল স্বৈরাচারের দোসর খুনিদের-খুনের ইন্ধনদাতা,অথ’ লুন্ঠনকারী-পাচারকারীদের খুজে বের করে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া।এখানেও রাজনৈতিক নেতা-কমী'রা ব্যথ' কারণ বড়-বড় রাঘব বোয়াল সবাই পালিয়েছে আর আমরা অতি তুচ্ছ বিষয় নিয়ে নিজেরা একে অপরের সাথে হানাহানিতে, জিঘাংসায় মেতে উঠেছি।

পাহাড় আর সমতল আলাদা করে ভাববার এখন আর সময় নাই।এতোদিনের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী/উপজাতি আজ আদিবাসী স্বীকৃতীর দাবী তুলে দেশকে অস্থিতিশীল করারও সময় নয়?সময় নয় এতো বছর পর পাহাড়ি উপজাতি আর সেটেলার বলে বিভাজন তৈরী করা।পাব’ত্যঞ্চল এখন অসংখ্য দেশি-বিদেশী মদদপুষ্ট সশস্র সন্ত্রাসীতে পূণ’,যাদের চাদাবাজীতে পাহাড়ি-বাঙ্গালী অতিষ্ট কেহই শান্তিতে নাই।সেই পাহাড় থেকে সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করে দেশের সীমান্ত অরক্ষিত রাখা যায় না।সম্ভব নয় পুন’বাসিত বাঙ্গালীদের উচ্ছেদ করা।সবাই একত্রে বসে পদ্ধতি বের করতে হবে কিভাবে উপজাতি-বাঙ্গালী শান্তিপুন্য’ সহাবস্থান করতে পারে।আমাদের সেনাবাহিনী-বিজিবি বিভিন্ন শান্তি শৃংখলা বাহিনী শখ করে পাহাড়ে থাকেন না।দেশের অখন্ডতা/সীমান্ত,পাব্য’তঞ্চলের মানুষের জান-মাল রক্ষায় মৃত্যুকে হাতে নিয়ে দুগ’ম পাহাড়ি ক্যাম্পে তারা দায়িত্ব পালন করেন।সশস্র সন্ত্রাসী নিমু’ল করতে পারলে অথবা তারা অস্ত্রত্যাগ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসলে,পুলিশ বাহিনী যদি শান্তিশৃংখলা রক্ষা করতে পারে সেক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর সেনা তদারকির কোনো প্রয়োজন নাই।তারা তাদের ব্যারাকেই ফিরে যাবে।স্মরণ করা প্রয়োজন সেনাবাহিনী,সেনাক্যাম্প, পুন'বাসিত বাংলাদেশি বাংগালীদের কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে,দৃশ্যমান অবকাঠামোর উন্নয়ন হয়েছে,পয'টন শিল্পের উন্নতিতে হাজার হাজার মানুষের কম'সংস্থান হয়েছে,শিক্ষাকেন্দ্র গড়ে ওঠায় শিক্ষিতের হার বেড়েছে, জীবন-মানের উন্নতি হয়েছে।যদিও বাংগালীরা এক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে আছে।তাই সোশাল মিডিয়াসহ সবখানে উপজাতিদের প্রচার প্রচারনা প্রচুর থাকলেও পুন'বাসিত বাংগালীদের কষ্টের কথা অবহেলার কথা দেখতে পাওয়া যায় না।

ইদানিং আদিবাসী স্বীকৃতি পেতে বেশ কিছু ইস্যু তুলে আনা হচ্ছে।দেশের অখন্ডতা রক্ষায় নিবেদিত প্রাণ আমাদের দেশ-প্রেমিক সেনাবাহিনীকে ভিলেন বানানোর অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে।আদিবাসী স্বীকৃতি পেলে উপজাতিদের বেশ কিছু দাবি তোলার সুযোগ আছে,সেগুলো অজানা কারো নয়।কিন্তু দেশের কিছু সুশীলগণের উচকানী খুব বেশি সবল যাদের কাজ কেবলই ধমকিংবা দেশের অখন্ডতার বিরোধী প্রচারনায় কোরাস গাইতে শুরু করা।যতটুকু জানা যায় আদিবাসিদের জন্য জাতিসংঘের আদিবাসী অধিকারের ঘোষণা করা হয়েছে।এই সল্প পরিসরে তা তুলে ধরা সম্ভব নয়।বিশ্বের ১৪৫টি দেশ পক্ষে থাকলেও অষ্ট্রেলিয়া,কানাডা,নিউজিল্যান্ড এবং মাকি'ন যুক্তরাষ্ট্র বিপক্ষে অবস্থান নেয়।বাংলাদেশ জাতিসংঘের ঘোষণা পত্রের অনুমোদন প্রক্রিয়ায় ভোট দানে বিরত থাকে।সেই ঘোষনাপত্রের ৪৬টি অনুচ্ছেদ থেকে দুচারটা বিষয় উল্লেখ করছি যা মানলে দেশের অখন্ডতা বিপন্ন হবে তাতে কোনো সন্দেহের অবকাশ নাই।১) আদিবাসী এলাকায় তাদের একক অধিকার থাকবে।২)সেখানে তাদের বাইরের পুলিশ থাকবে না।৩)সেনাবাহিনী প্রবেশ করতে পারবে না,থাকবে সকল প্রকার সামরিক কায’ক্রম বন্ধের অধিকার।৪)বাইরের কেউ জমি কিনতে পারবে না। ইতিমধ্যে হাতছাড়া হওয়া  জমি উদ্ধার করে ফেরত দিতে হবে।এখানে বড় প্রশ্ন বিভিন্ন দেশ থেকে এসে পাহাড়ে বসবাসরত আমাদের উপজাতি ভায়েরা জাতিসংঘের আদিবাসী অধিকারের ঘোষনাপত্র অনুযায়ী আদিবাসি হতে পারে কি?আছে কি প্রয়োজন এসব নিয়ে বিশ্বাস অবিশ্বাসের ডালপালা গজানোর?

সবার সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করা,আইনের শাষণ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সম্ভব একটা সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়া।ইতিহাস বলে কাপ্তাই জলবিদ্যুত প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে একটা ক্ষোভ ছিল।দেশ স্বাধীনের পর আমাদের অতি উগ্র বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদী নেতার সবাইকে বাঙ্গালী হওয়ার ঘোষনায় তা আগুনে ঘৃতাহুতী ঘটে।৭৫ পরবতী’তে জিয়াউর রহমান জাতীয়তাবাদ বাংলাদেশী ঘোষনায় ক্ষোভ প্রশমিত হলেও সমতল থেকে নদী ভাঙ্গনে গৃহহীন,ভুমিহীন বাঙ্গলা ভাষা ভাষীদের পাহাড়ে পুন’বাসনের ব্যবস্থা করলে পাহাড় আবার উত্তপ্ত হয়ে উঠে।অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা আগুনে ঘড়বাড়ী পুড়িয়ে গুলি করে অসংখ্য পুনবাসিত বাঙ্গালীদের নৃশংসভাবে হত্যা করে।উপজাতি-বাঙ্গালী সংঘাতে অনেক উপজাতি আশ্র্য় নেয় ভারতে।ভারত সু্যোগ বুঝে তাদের সকল প্রকার সহযোগীতা দিয়ে শক্তিশালী করে গড়ে তুলে সশস্র শান্তি বাহিনী।সশস্র সংঘাত সংঘষেহতাহতের মাত্রা বাড়তে থাকে।

বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতার পটপরিবতনে ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় বসতে না বসতে প্রায় দুই দশকের সংঘাতময় অবস্থায় সশস্ত্র উপজাতি শান্তি বাহিনীর সাথে আওয়ামী লীগের হাসিনা সরকারের পাব'ত্য শান্তি চুক্তি হয়।পাব'ত্য আঞ্চলিক পরিষদ গঠিত হয় ১৯৯৮ সালে এই পরিষদের প্রথম চেয়ারম্যান হন পাহাড়ি উপজাতিদের পক্ষে স্বাক্ষরকারী জ্যোতিরিন্দ বোধিপ্রিয় লারমা।এই চুক্তি ছিল তৎকালীন ভারত সরকার এবং বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের হাসিনা সরকারের যৌথ প্রযোজনায় একমাত্র "আমি" শান্তির জন্য একটা কিছু করেছি প্রচার প্রচারণা চালানোর জন্য মঞ্চায়িত নাটিকা।এখানে উপজাতি-বাঙ্গালী সহাবস্থানকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয় নাই।এই চুক্তি বৈষম্যমূলক চুক্তি যেখানে বাংলাদেশের অখণ্ডতাকে হুমকির মুখে ফেলা হয়েছে,পুন'বাসিত বাংলাদেশি বাংগালীদের অবহেলা-করা হয়েছে।সব চাইতে আশ্চয্য’জনক ব্যপার চুক্তির সাথে সাথে শান্তি বাহিনী থেকে বেড়িয়ে ইউপিডিএফ নামে শান্তি চুক্তি বিরোধী আরেকটি সশস্র সংঘঠন আত্মপ্রকাশ করে শান্তি চুক্তিকে তামাশায় পরিনত করে।

এই চুক্তির শতপালন করা সম্ভব নয় জানতো সবাই আর তাই চুক্তির পর দীঘদুই দশকের তাদের শাষণকালে চুক্তির কোনো অগ্রগতি হয় নাই।সারা পাহাড় জুড়ে আছে দেশি-বিদেশি অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী তাদের দমনে একমাত্র সেনাবাহিনী প্রয়োজন।সেই সেনাবাহিনী পাহাড়ে থাকতে পারবে না কেন?সবার সমান অধিকারের বাংলাদেশে সবাই বাংলাদেশী সবার অধিকার দেশের সব জায়গায় থাকবার।পাহাড়ী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী বাংলাদেশীরা যদি সারা বাংলাদেশব্যাপী চাকুরী-ব্যবসা-বানিজ্য করতে পারে, গাড়ি-বাড়ী ক্রয়-বিক্রয় করতে পারে অন্য জেলার মানুষ পাহাড়ে থাকতে পারবে না, জমি ক্র্য়-করতে পারবে না কেন?পাহাড়ে গীজা', চাচ' পেগোডা হতে পারবে কিন্তু মুসলিম হতে পারবে না, মসজিদ দিতে পারবে না আর তাই অবাধ্য হওয়ায় ওমর ফারুককে গুলি করে মারতে হবে?যতটা জানি তিন পাব'ত্য জেলা পরিষদে কোনো বাঙ্গালীদের চাকুরী হয় না যদি ঘটনা সত্য হয় তবে কেন এই বৈষম্য?তাই অতি দ্রুত এই বৈষম্যমুলক চুক্তি বাতিল করা প্রয়োজন।

তৃতীয় কোনো পক্ষকে ফায়দা লোটার সু্যোগ না দিয়ে,কারো আত্মতুষ্টির জন্য নয় সবার সমান অধিকার দিয়ে স্থায়ীভাবে ধম-বণনিব্বি’শেষে শান্তি-সম্প্রীতিতে পাহাড়ি-বাঙ্গালী বসবাসের জন্য যুগপোযোগী ব্যবস্থা গ্রহন করা প্রয়োজন।পাহাড়ি সকল উপজাতি নৃগোষ্ঠী-বাঙ্গালী সংখ্যাগত পাথ'ক্য না করে সমান সংখ্যক প্রতিনিধি দিয়ে জেলা পরিষদ গঠন করা এবং পাহাড়ে বসবাসরত পাহাড়ি সকল উপজাতি-বাঙ্গালীদের দিয়ে পুলিশ প্রশাসন  পরিচালনা করে শান্তি শৃংখলা নিয়ন্ত্রণ করা যায় কিনা পরীক্ষা করা যেতে পারে।

শুধু সরকারই সব করে দেবে তা ভাবা ঠিক নয়।শান্তির জন্য বৈষম্য দূর করতে প্রয়োজন আমাদের সকলের মানসিকতার পরিবর্তন, প্রয়োজন নিজেকে নিজের আমুল সংস্কার।আমাদের সবাইকে বাংলাদেশী ভাবতে হবে।পাহাড়ি-বাঙ্গালী ভেদাভেদ বন্ধ করতে হবে।একে-অপরের প্রতিবেশীকে ভালোবাসতে হবে সম্মান করতে হবে।আমরা কেহ যেন এমন কোনো ভুল না করি যাতে অস্থিতিশীল হয় আমার প্রতিবেশীর পরিবার, কোনো শহর।মনে রাখতে হবে প্রতিবেশীর ঘরের আগুনে যেমন পুড়তে পারে  আমার ঘড় আমার স্বপ্ন তেমনি জনারণ্যের লাগানো আগুনে পুড়তে পারে দেবালয়। মনে রাখতে হবে আমার যে কোনো বিপদে আমারই প্রতিবেশী প্রথম এসে পাশে দাড়াবে অন্য কেউ নয়।কারো ষড়যন্ত্রের ফাদে না পড়ে আসুন আগে সংস্কার করি নিজেকে,নতুন বাংলাদেশ গড়তে সবাই একসাথে এগিয়ে যাই সম্মুখে দৃঢ়প্রত্যয়ে ।

https://www.youtube.com/channel/UCO9Em15PgixJY8mgVh78rjA

প্রকাশ ঃ আলোকিত বাংলাদেশ    তারিখ ঃ ০৬/১০/২০২৪