দেখলাম কানাডার প্রধানমন্ত্রী সোফায় বসা তার দেশের নাগরিকদের সাথে কথা বলছেন তাদেরই সামনে মেঝেতে বসে। ডিজিটাল যুগ ছবি ফটোশপে করা কিনা জানা নাই। যাইহোক ভালোই লাগলো। ভাবছি আমরা কোথায় আছি। নিরাপত্তা বলয় আর প্রটোকলের চিপায় সাধারণ দুরের কথা দুদিন আগের দলীয় সহযোদ্ধা ও ক্ষমতাসীন নেতার ছায়াও মাড়াতে পারেন না। আমাদের জনপ্রতিনিধিদের যাতায়াত নিভি'গ্ন করতে ঘন্টার পর ঘন্টা রাস্তার চলাচল বন্ধ করায় জনভোগান্তিতে পড়তে হয় । তাদের সন্মানিত করতে শত শত ছাত্র ছাত্রীদের ফুল হাতে ঝড় ঝঞ্জা রোদে পুড়তে হয়। মন্ত্রী দূরে থাক এম.পি সাহেব/সাহেবানেরা পাচ্ছেন শত রকমের সুযোগ সুবিধা, বিমানবন্দর সহ সবখানেই ভি.আই.পি/ ভি.ভি.আই.পি সমাদর আরও কতো কি। কোনো কোনো মহারথীর নাকি আব্দার, কোনো প্রকার তল্লাশি বিমানবন্দরে যাবে না করা মান সম্মান বলে কথা।
বড়ই আফসোস, যে প্রবাসী ভায়েরা আত্মীয় পরিবার পরিজনহীন বিদেশ বিভুয়ে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে আমাদের দেশের বৈদেশিক মুদ্রার যোগান দেয়। ছুটি ছাটায় বেড়াতে আসলে তাদের সাথে দেশের বিমান বন্দরের কম'কতা' কম'চারীরা যে বাজে ব্যবহার করে সেটা বন্ধ করতে নীতি নিধা'রকগণ চিন্তার কোনো সুযোগ পেয়েছেন কিনা জানা নেই ?
এবার অন্য কিছু ।
গ্রামের উঠতি বয়সের মেয়ে আর তারই ভালো লাগার একই বয়সের ছেলে। পড়ন্ত বিকেলে নি'জন সুপারি বাগিচায় অভিসারে। একসময় দুজনেই চরম আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়ে।ছেলেটি সুপারির ডগার খোলে মেয়েটির শয্যা পাতে। আরও একটু বেশী কাছে পেতে চাইলে মেয়েটি লাফিয়ে ওঠে। রাগান্বিত হয়ে বলে বাগিচা আমার খোলও আমার , আমি কিনা থাকবো নিচে ? হবে না চল্লাম বলে ছুট লাগালো বাড়ির দিকে।
ছেলেটি হতবিহ্বল মুতি'র মতো দাঁড়িয়ে তাকিয়ে রইলো মেয়েটির চলে যাওয়া পথের দিকে। সুয্য' অস্তগামী মেয়েটি এক সময় দূরে হারিয়ে যায়। বাগিচায় তখন আবছা আলো অন্ধকার।
No comments:
Post a Comment
Note: Only a member of this blog may post a comment.