Saturday, September 21, 2019

সভ্যতার অগ্রযাত্রা কোথায় গিয়ে থামবে ?

বহু বছর আগে স্পার্ম ব্যাংক নিয়ে লেখা ছিলো, অনেক খুজেও পেলাম না।উদ্দেশ্য তেমন কিছুই না।নারীর বিবাহে অনিহা এবং সিংগেল পেরেন্টস নিয়ে লেখা পড়লাম।পাশ্চাত্যে সিংগেল পেরেন্টস বা বিবাহ ব্যাতিরেকে পুরুষের সংস্পর্শ ছাড়া স্পার্ম ব্যাংক থেকে যে কোন পুরুষের স্পাম' নিয়ে মা হওয়ার প্রচলন অতি পুরনো হলেও হালে এই উপমহাদেশে এর প্রতি আশক্তি বা আগ্রহ নাকি পরিলক্ষিত হচ্ছে।
নারীর ক্ষমতায়ন নিজের উপর আস্থা, শিক্ষা দীক্ষায় আথি'ক সকল বিষয়ে স্বাবলম্বী হওয়ায় নারী এখন থাকতে চায় স্বাধীন।কারো মুখাপেক্ষী হতে তারা আর রাজি নয় এখন ।স্বামী,শশুর শাশুড়ী পারিবারিক বন্ধন এখন কারো কারো কাছে হয়তো বা পরাধীনতার শৃংখল।এরই মাঝে কেহ কেহ মা হতে বড় বেশী ব্যাকুল আবার কেহ সন্তান ধারন লালন-পালন করাকে ভাবে একেবারেই আনফিটেট জীবনের উচ্চ শিখরে উঠার প্রতিবন্ধক।ডিজিটাল যুগে প্রবল প্রতিযোগীতা এবং বৈচিত্রে ভরপুুর প্রা্ত্যহিক জীবনে তাদের চিন্তা চেতনা একেবারেই ভুল বলা বোধহয় বড়ই দুস্কর।কারণ এখন আমরা সব কিছুইতে হতে চাই আমি-ই।অন্যদিকে বিবাহিত জীবনে দুজনেই যোগ্যতায় সমানে সমান তাই কেহ আর কাউকে ছাড় দিতে রাজি নয়।বাড়ছে ব্যাক্তিত্বের সংঘাত।হরহামেশাই ভাংগছে সংসার অনেকটাই বালুচরে বানানো খেলাঘরের মতো, এই আছে এই নাই।
আমি ভাবছি অন্য কিছু। মানুষ হিসেবে আমরা দুনিয়ার সৃষ্টির সবচেয়ে সেরা জীব।আধুনিক সভ্যতার চরম শিখড়ে উঠতে উঠতে আজ আমরা কোথায় চলেছি।আমরা মানুষে মানুষে হানাহানিতে যে হিংস্রতা যে ব্বব'রতা যে নৃশংসতার আশ্রয় নিয়েছি বনের হিংস্র জানোয়ারও তা দেখে টাসকি খেয়ে এই ধরাধাম থেকে অতি দ্রুত চলে যেতে চাইছে।সেই জন্যই বোধহয় দিনে দিনে বিভিন্ন প্রজাতী আমাদের মাঝ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে।পরিবেশ প্রকৃতিও হয়ে উঠছে বিরুপ,বড়ো বেশী মারমুখী।সেই প্রকৃতি বিরোধী কাজের আর একটি  মানব সভ্যতার সম্ভবত অতি ঘৃণীত ব্যবস্থা এই স্পার্ম ব্যাংক।
অবাক হতেই পারেন বিজ্ঞানের উতকষ'তাকে হেয় করছি বলে।একবার ভাবুন এই ব্যাবস্থা দেশে দেশে ব্যাপক প্রসারতা পেলো।একই ব্যাক্তির স্পাম' নিয়ে ১০ জন মহিলা মা হলেন পাচটা ছেলে পাচটা মেয়ের অথবা আরো অধিক।যেমন ভাবে পশু খামার গুলিতে মাদি পশু গুলিকে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন জাতের পুরুষ পশুর শুক্রাণু দিয়ে নিশিক্ত করা হয়।আমাদের দেশের সমাজ সংসারের আলোকেই বলি ছেলে মেয়ে বংশের ধারা বজায় রাখার কথা।বাবার পরিচয় নেই আর তাই বাবার বংশ দাদা বাড়ির আনন্দও নাই ভিন্ন এই ছেলে-মেয়েদের কাছে।সে কোন বংশের ধারা বজায় রাখবে? বড় হলে দেখবে তারই কোনো সহপাঠী বাবার গলা জড়িয়ে আদর নিচ্ছে আর তার বাবাই নাই।এ যেন ভিন্ন গ্রহের ভিন্ন প্রজন্ম।আরও একটু সামনে ভাবুনতো।ছেলে মেয়ে বড় হলে যে কোনো ভাবেই হোক এই দশ জনের ভেতর এক মেয়ে আর এক ছেলের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলো।একই পুরুষের স্পাম' থেকে জন্ম নেওয়া ছেলে-মেয়ে হয়ে গেলো পতি পত্নী!একে কি বলবো মানব সভ্যতার উতকষ'তা ?এই সভ্যতার অগ্রযাত্রা কোথায় গিয়ে থামবে ? নাকি অতি আধুনিকতার খোলসে ফিরে যাচ্ছি অনেক অনেক পেছনে ফেলে আসা কোনো এক না জানা অন্ধকার যুগের আদিমতায় ?
https://youtu.be/IQPUPWUqv48

No comments:

Post a Comment

Note: Only a member of this blog may post a comment.