Thursday, December 12, 2019

দুলে উঠবে টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া

বেশ ক'দিনের জল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে আবার বিদ্যুত এর খুচরা ইউনিট প্রতি ২১% মুল্য বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।প্রস্তাব মানেই হচ্ছে জনগণের উপর নতুন বোঝা  চাপিয়ে দেওয়া এখন মাত্র সময়ের ব্যাপার।কিন্তু কেনো এই মুল্য বাড়ানোর প্রস্তাব? মাত্র ক'মাস আগে গ্যাসের মুল্য বাড়ানো হয়েছে বছর না ঘুরতে আবার বিদ্যুত এর মুল্য। ফলাফল বাজারের সব কিছুর মুল্যে যে উল্লোফন দেখা দেবে তা সামলাবে কে? নাকি এক্ষেত্রেও পেয়াজ খাওয়া বন্ধ করার মতো আবার বিদ্যুত ব্যবহার বন্ধ করতে  বলবেন ? 
একজন সাধারণ অজ্ঞ মানুষ হিসেবে মুল্য বাড়ানোর যুক্তি শুনতে এবং বুঝতে  চাই না।শুধু বুঝি এর ফলে সামনের দিনে আমাদের জীবনের চাকা  চালানো কষ্টকর হবে। অতি ভাগ্যবান সরকারি কম'কতা' কম'চারী এবং ভালো কোনো দেশী-বিদেশী কোম্পানিতে কম'রত ব্যাক্তিগণের পয়সার ঘাটতি হয়তো-বা হবে না কিন্তু আত্নীয় সমাজ সংসারের অস্থিরতার আচে তারাও কি কম দগ্ধ হবে ? তাদেরই কোনো আচই লাগবে না যারা মানবরুপি দানব এদেশের বালিশ কান্ড, পদ্দা' কান্ড, বাশ কান্ড, ব্যাংক লুট, শেয়ার বাজার লুটের কান্ডের মতো হাজারো কান্ড  দিয়ে সবকিছু লুটে দেশে বিদেশে টাকার পাহাড় গড়েছে।     
জানতাম কোনো প্রতিষ্ঠান খরচ  চালাতে না পারলে তার পরিচালনা পষ'দকে তার পন্যের মুল্য বাড়ানোর আগে প্রতিষ্ঠানের  কিছু আভ্যন্তরীণ সংস্কারের পদক্ষেপ নিতে হয় ব্যায় সংকোচনের জন্য। কিন্তু দুভা'গ্য জনগণের কর এর টাকায় লালিত পালিত কোনো সরকার কখনোই  সে কাজটি করে না। নিজেদের সুখ সাচ্ছন্দ্যের ঘাটতি হতে দিতে পারে না তাই একেবারেই সহজ সোজা চাপিয়ে দেওয়া হওক জনগণের ঘাড়ে।
আমরা চাই বিদ্যুত এর দাম বাড়ানোর আগে বিদ্যুত খাত এর ব্যায় সংকোচনের ব্যাবস্থা নেওয়া হওক,অপচয়/চুরি দুনী'তি দুর করা হওক।তারপর বাকিটা রাষ্ট্রীয় ভুত'কি দিয়ে হলেও বিদ্যুত এর  মুল্য বাড়ানো থেকে বিরত থাকা হওক।     
একটু অবাকই লাগে ক্ষমতার বাহিরের তথাকথিত জননেতারা ভুলে গেছেন তারা কাদের জন্য রাজনীতি করেন। কখন কিভাবে কিসের জন্য  আন্দোলন/প্রতিবাদ করতে হয়। তারা কি দেখছেন না মানুষ ঠকতে ঠকতে এখন নেতা নেত্রীদের  উপর তাদের আস্থা হারিয়ে ফেলেছে।ঘরে খাবার আর ঘুমানোর জায়গা থাকলে যতক্ষন নিজের উপর না আঘাত আসছে ততক্ষণ উহ শব্দ করতে ভুলে গেছে। নেতা নেত্রীরা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ড্রয়িং রুমে টেলিভিশনে দেখতে কি পান না শুধুমাত্র কাউকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য জীবন বাজী রাখার গনমানুষের এখন যেমন বড় অভাব তেমনি জনদরদী  মাটি ও মানুষের নেতারও বড় আকাল। চারদিকে কেবলই হতাশা।কোথাও নেই কোনো আশা, নেই কোনো ভরসা। অপেক্ষায় চেয়ে আছি দৃষ্টির শেষ সীমানায় আবার কবে দেখবো সেই জনদরদী নেতা দেশ মাতৃকার জন্য, জনগণের জন্য যার অংগুলি হেলনিতে দুলে উঠবে টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া।
https://youtu.be/IQPUPWUqv48

No comments:

Post a Comment

Note: Only a member of this blog may post a comment.