Sunday, February 9, 2025

পরিকল্পিত ভাবে ছাত্র-জনতাকে উসকে দেয়া হয়েছে

ভারতের সব সরকার সব সময়ই আওয়ামীলীগকে পছন্দ করেছে।আওয়ামী সরকারকে ক্ষমতায় রাখতে ভারতীয় সব সরকারই সকল প্রকার সহযোগীতা দিয়েছে।কিন্ত্ কট্টর হিন্দুত্ববাদী বিজেপি প্রধান নরেন্দ্রমোদী সরকারের সাথে হাসিনা সরকারের সম্পক’ পৌছেছিল সব্ব’ কালের সব্ব’উচ্চতায়।নরেন্দ্রমোদী সরকার হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে বাংলাদেশের বিরোধী মতের লোক দমন-পীড়নে,গুম-খুনে বিরোধী রাজনৈতিক দলকে নিমু’ল করতে সহযোগীতা করেছে।বিএনপি,জাতীয় পাটি’সহ সকল বিরোধী রাজনৈতিক দল ২০১৪ সালের জাতীয় নিবা’চন বয়কটের ঘোষনায় ২০১৩ সালে সম্ভবত ডিসেম্বরে তৎকালীন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা শিং কে দিয়ে এরশাদকে ভয়ভীতি দেখিয়ে পাতানো নিবা’চনের ব্যবস্থা করেছে।ভারত পাতানো নিবা’চনের মাধ্যমে হাসিনাকে ক্ষমতায় থাকার ব্যবস্থা করেছে।

এভাবে একটানা দীঘ’ পনের বছর ক্ষমতায় রেখে হাসিনাকে ফ্যাসিবাদ রাণী বানিয়েছে।বিনিময়ে নাম মাত্র শুল্কের মাধ্যমে ট্রানজিট নেওয়া,অধিক মুল্যে অন্যায্য শতে’ আদানীর বিদ্যুত বাংলাদেশের কাছে বিক্রির ব্যবস্থা সহ ভারতের প্রয়োজনে যা কিছু নেওয়ার সবই নিয়েছে।কিন্ত সীমান্তে বাংলাদেশীদের গুলি করে হত্যা বন্ধ করে নাই, তিস্তার পানি চুক্তিও করে নাই।তিস্তার পানি চুক্তি না করলেও ফেনী নদীর পানি নিতে চুক্তি ঠিকই করেছে।শোনা যাচ্ছে বিনা ভোটে ক্ষমতায় থাকতে ভারতের সাহায্য পেতে অন্যায্য ভাবে বাংলাদেশের ভুখন্ড ব্যবহারের ব্যবস্থা করেছে।দেখে মনে হচ্ছে আগামী ২০৪০ সাল পয্য’ন্ত হাসিনার ক্ষমতায় থাকার জন্য হয়তো বাকি ছিল সিকিমের লেন্দুপ দজি’র মতো ভারতের কাছে বাংলাদেশকে তুলে দেয়া।সময়ের অভাবে হয়তো বা তা করে যেতে পারে নাই।নরেন্দ্রমোদি সরকারও সম্ভবত বুঝতে পারে নাই যে এতো দ্রুত কোটা নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের আন্দোলনের ইস্যুতে তার তৈরী তাবেদার ফ্যাসিবাদ রানীর পতন হবে।

২০১৮ ইং সালে জাতীয় নিবা’চনের আগে আওয়ামী লীগ নেত্রী, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন আমি ভারতকে যা দিয়েছি ভারত তা সারা জীবন মনে রাখবে”।তিনি ঠিকই বলেছিলেন।ভারতবাসী সারা জীবন মনে রাখবে কিনা জানা নাই তবে নরেন্দ্রমোদী ভোলেন নাই।তিনি মনে রেখেছেন।জুলাই এর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমন করতে নিব্বি’চারে শত শত ছাত্র জনতা হত্যা ,লাশ পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা, হাজার হাজার মানুষকে রক্তাক্ত আহত করে জন-রোষে প্রাণ বাচাতে হাসিনা ভারতে পালিয়েছেন।নরেন্দ্রমোদী প্রতিদান হিসাবে হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছেন।তার দেখ ভাল এর ব্যবস্থা করেছেন।তাকে পুন'বাসনের জন্য একজন রাষ্ট্রদ্রোহী মামলার আসামী, শিশু নি্যা'তনকারী এবং অনৈতিক কম'কান্ডে জড়িত এক ব্যক্তিকে দিয়ে দাংগা বাধানোর চেষ্টা করেছেন।১৮কোটি মানুষের বিরুদ্ধে গিয়ে বাংলাদেশের ইনটেরিম সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে বিভিন্ন ব্যানারে বিভিন্ন দাবি আদায়ের নামে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করেছে এবং এখনো অব্যাহত রেখেছে।মিডিয়ায় নিত্য নতুন প্রপাগাণ্ডা চালিয়ে বিদেশে বিভিন্ন ফোরামে তা তুলে ধরছেন।হাসিনাকে ভারতে বসে তার ফেলে যাওয়া নেতা-কর্মীদের উচকানি দিয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরী করার সুযোগ দিয়ে যাচ্ছে।

সব’শেষে আগাম ঘোষণা দিয়ে ডঃ ইউনুসের ইনটেরিম সরকারের ৬মাস পূতি’র দিন ৫ ফেব্রুয়ারী বুধবার স্বৈরাচার খুনি হাসিনা ভারতের আশ্রয়ে থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাষণ দেন।তার ফেলে যাওয়া ছাত্রলীগকে তাদের হারনো ক্ষমতা ফিরে আনার আহবান জানান।তার ভাষণে কোথাও জুলাই বিপ্লব দমাতে নিব্বি’চারে হাজার হাজার ছাত্র-জনতা আহত-নিহত করা কিংবা তার দীঘ’ শাসনামলে হাজার হাজার মানুষ গুম হত্যা নিযা’তনের জন্য অনুশোচনা নাই, তার কোন দুঃখবোধ নাই,জাতির কাছে তার যেন কোনো অপরাধ নাই।ভাবখানা এমন সমগ্র জাতি যেন তার সাথে বেঈমানি করেছে অন্যায়ভাবে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে।তার এই ভাষণের ঘোষণায় আহত-নিহতের পরিবার, আন্দোলনে মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে থাকা অকুতোভয় ছাত্রজনতার ক্ষোভের আগুনে ঘৃতাহুতি দিয়েছে।গত ছ্য় মাস অতিবাহিত হলেও তারা দেখছে জুলাই বিপ্লবে নিহত পরিবারদের ক্ষতিপুরণ ,আহতদের চিকিৎসা ও পুন’বাসনের ব্যবস্থা হয় নাই।স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের খুনী,অথ’সম্পদ লুটপাটকারী সবাই পরিবার পরিজনসহ দেশ ছাড়া।দু’চারজন যারা ধরা পড়েছে তাদেরও কারো এখনো বিচার হয় নাই।প্রশাসন সহ সকল সরকারী স্থাপনায় স্বৈরাচারের দোসর বহাল।মানুষ সেই ক্ষোভে স্বৈরাচারের বিভিন্ন স্মৃতি-স্থাপনা ভাংচুর করেছে।অবস্থা দেখে মনে হয় দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে পরিকল্পিত ভাবে ছাত্র-জনতাকে উসকে দেয়া হয়েছে,এমন যে হবে তা তাদের জানা।এভাবে তারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়।এসব খবরাখবর ছবি প্রচার করে দেশকে মৌলবাদী জংগী বানিয়ে দেশে-বিদেশে সহানুভুতি আদায় করতে চায়।ছাত্র-জনতাকে সাবধান হতে হবে সবকিছুতে প্রথমেই নিজেদের না জড়িয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করতে হবে।চারিদিকে কেবলই ফাদ, ভুলে কারো উচকানিতে জাতীয় এক্য নষ্ট করার সেই ফাদে পা দিলে রাষ্ট্র সংস্কার বিঘ্নিত হতে পারে।

মনে পড়ে ৭৫ পরবতি’তে বিবিসির সাংবাদিকের সাথে সাক্ষাতে হাসিনা বলেছিলেন তিনি রাজনীতিকে ঘৃণা করেন।তবে ১৫ আগষ্ট ৭৫ এ তার পিতা-মাতা আত্মীয়-স্বজনকে হত্যা করে যারা উল্লাস করেছেন তাদের এক মুহুত্’ শান্তিতে থাকতে দেবেন না।খুন-গুম জেল জুলুম নিযা’তন থেকে শুরু করে অথ’ পাচার তার দেশ বিরোধী সকল কম’কান্ডে সেই কথাই যেন মনে করিয়ে দিচ্ছে বারবার।সময় এসেছে ভাবতে হবে যারা দেশের সম্পদ লুটপাট করে বিদেশে পাচার করে।বিপদে অনুসারী-কমী’দের কথা না ভেবে পালিয়ে যায়, যারা ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তে কেনা নিজ মাতৃ ভুমিকে অন্যদেশকে দিয়ে দেয় তাদের পুন’বাসনে কেন নিজেদের বিপদে ফেলতে হবে।তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে দেশকে কেন অস্থিতিশীল করতে হবে?রাজনীতি করার অধিকার সবার আছে যারা দেশ ও জাতির সাথে বেঈমানী করে নাই, যারা দেশ-প্রেমিক তারা নিজেরাই দল করুন রাজনীতি করুন ।দেশ ও দেশের মানুষকে ভালোবাসুন।ভাবতে হবে,সুবিধাবাদী নেতা-নেত্রীর জন্য আমার কোনো প্রতিবেশিকে আঘাত যেন না করি কারণ বিপদে সবার প্রথমে আমার প্রতিবেশি আমার পাশে থাকবে অন্য কেহ না।  

ভারতের এতো বৈরী আচরণের মাঝেও গত ডিসেম্বরে দু’দেশের পররাষ্ট্র সচীবদ্বয়ের বৈঠক হয়েছে।বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতের বিএসএফ এর সংখ্যা বৃদ্ধি, অ্যান্টি ড্রোন ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন,ভারতীয় কোষ্টগাড’ কতৃক বাংলাদেশের জলসীমা থেকে নাবিকসহ মাছ ধরার ট্রলার ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।পরবতি’তে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে উভয় দেশে আটক নাবিক সহ ট্রলার বিনিময় হয়েছে।পররাষ্ট্র সচীবদ্বয়ের বৈঠক হওয়ায় শান্তি প্রিয় মানুষ আশা করেছিল উভয় দেশের মাঝে বৈরীতার অবসান হবে,শান্তি আসবে।নাবিকসহ ট্রলার বিনিময় দেখে মানুষ যখন সেই শান্তির আশার আলো দেখতে শুরু করেছে তখন সীমান্তে আন্ত’জাতিক আইন লংঘন করে কাটা তারের বেড়া নিমা’নকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার বাড়তে শুরু করেছে।আন্ত’জাতিক আইন অনুযায়ী সীমান্ত পিলারের উভয় পাশে ১৫০ গজের ভেতর কোনো দেশই কোনো স্থাপনা নিমা’ন করতে পারে না।বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বিজিবি এর বাধা সত্বেও ভারতের সীমান্তরক্ষী বিএসএফ কিন্তু তা বারবার উপেক্ষা করে যাচ্ছে।এ বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতীয় রাষ্ট্র দূত প্রণয় ভামা’কে তলব করে বাংলাদেশের সীমান্তে কাটাতারের বেড়া নিমা’নকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা এবং একজন বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে।৬ই ফেব্রুয়ারী হাসিনার বক্তব্য প্রচারের পর ঢাকাস্থ ভারতীয় ভারপ্রাপ্ত উপ হাইকমিশনারকে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে তলব করে মানবতাবিরোধী মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামি হাসিনাকে ভারতে বসে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার বক্তব্য প্রচার করার সুযোগ দেওয়ায় প্রতিবাদ জানান হয়েছে।

গত কিছুদিন পুবে’ ভারতের সেনা প্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানান, কৌশলগত কারণে বাংলাদেশ ভারতের কাছে গুরুত্বপূর্ণ এবং একইভাবে ভারতও বাংলাদেশের কাছে গুরুত্বপূর্ণপ্রতিবেশী হিসাবে আমাদের একসঙ্গে থাকতে হবে এবং পরস্পরকে বুঝতে হবে কোনো ধরনের বিদ্বেষ  কারো স্বার্থের জন্যই ভালো হবে নাতিনি আরও বলেন দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে আমরা আলোচনা করতে পারব শুধুমাত্র যখন একটি নির্বাচিত সরকার থাকবে।তার মানে ভারত ডঃ ইউনুসের ইনটেরিম সরকারকে মানতে পারছেন না।কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায় আফগান তালেবান সরকার নিবা’চিত সরকার নয় ভারতের চিরশত্রু পাকিস্তানের সাথে আফগানদের সীমান্ত সংঘ’ষের পর যদি ভারত-আফগান সম্পক’ উন্নয়নের আলাপ আলোচনা হতে পারে তবে বাংলাদেশের বত’মান ইনটেরিম সরকারের সঙ্গে কেন নয়।বাংলাদেশের ইনটেরিম সরকার নিবা’চিত সরকার না হলেও ছাত্র-জনতার সফল আন্দোলনে প্রতিষ্ঠিত সরকার।ভারত পাকিস্তান চির বৈরিতার কারণে সম্ভবত ভারত আফগানদের বেলায় আমার শত্রুর শত্রু আমার বন্ধু এই নীতি অবলম্বন করছেন।

ভারত বাংলাদেশের বৃহতর প্রতিবেশী।বাংলাদেশের মানুষ ভারত বিরোধী নয় তবে মোদী সরকারের বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে কম'কান্ড তার আগ্রাসী-আধিপত্ববাদীতে বিক্ষুদ্ধপ্রকৃতপক্ষে এপার ওপার দুই দেশের শান্তি প্রিয় মানুষের কারো সাথেই কারো কোন বিবাদ কখনো ছিল না এখনো নাইতাই জুলাই বিপ্লবে হাসিনার নৃশংশতা দেখে ছাত্র-জনতার পক্ষে ভারতীয়রা যেমন রাস্তায় নেমেছে তেমনি বাংলাদেশের মানুষ আরজি কান্ডে সংহতি জানিয়েছে।ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ৩২ নম্বর একটা বাড়ী ভাঙ্গাকে দুঃখজনক বলেছেন নিন্দা জানানো উচিৎ বলেছেন।কিন্তু জুলাই বিপ্লব দমাতে স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পৈশাচিকতায় হাজার-হাজার ছাত্র-জনতা আহত নিহত হওয়ায় দু;খ প্রকাশ করেন নাই।বরং ভারতে পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচারী হাসিনা ও নেতাদের আশ্রয় দিয়ে তাকে পুন’বাসনের সকল চেষ্ট করছেন।বাংলাদেশের পতিত স্বৈরাচারীকে আশ্র্য় দিয়ে তাকে তার হারানো ক্ষমতা ফিরে পেতে সাহায্য করার অনৈতিক কায’কলাপ চালিয়ে প্রতিবেশী ১৮ কোটি মানুষের দেশকে অস্থিতিশীল করা উচিৎ কিনা নরেন্দ্র মোদি সরকারকে ভাবতে হবে?রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে রাজনীতিকরা হিন্দু-মুসলিম কিংবা সংখ্যাগুরু-সংখ্যালঘু বিভেদের মাঝে ঘড় পোড়া আগুনে আলু পুড়িয়ে খাওয়ার মতো ফায়দা লুটতে চায়।যুদ্ধ বিগ্রহে উত্তাল বিশ্বে দক্ষিন পুব’ এশিয়ার শান্তির জন্য বৃহত্তর রাষ্ট্র হিসাবে ভারত সরকারের আন্তরিক সদিচ্ছা থাকা এ মহুত্তে’ অতি জরুরী।আশা করি ভারতের নরেন্দ্রমোদি সরকারের শুভবুদ্ধি হবে।ভারতের আশ্রয়ে থাকা পলাতক আওয়ামি নেতা-কমী’দের বাংলাদেশ বিরোধী কম’কান্ড ভারতে বসে চালানো থেকে বিরত রাখবেন।ছাত্র-জনতার জুলাই বিপ্লব এবং বাংলদেশের ডঃ ইউনুসের ইনটেরিম সরকারকে মেনে নিবেন।দক্ষিন পুব’ এশিয়ার শান্তির জন্য এপার-ওপার কেহ কোন একক ব্যাক্তি বা গোষ্টীর জন্য রাষ্ট্রের সাথে রাষ্ট্রের সম্পক’ যেন নষ্ট না করি।কোনো প্রকার  হিংসা-বিদ্বেষ না ছড়াই প্রয়োজনে বিপদে-আপদে একে অপরকে সাহায্য সহযোগীতা করি।সু-প্রতিবেশী হিসাবে সুখে শান্তিতে পাশাপাশি বসবাস করতে চেষ্টা করি  

https://www.youtube.com/channel/UCO9Em15PgixJY8mgVh78rjA

No comments:

Post a Comment

Note: Only a member of this blog may post a comment.