পরাশক্তি রাশিয়া পরমানু অস্ত্র রোধ , মানবাধিকার লংঘন ও নিজ সীমান্ত নিরাপদ রাখার অজুহাত দেখিয়ে এক সময়ের অবিভক্ত সোভিয়েত ইউনিয়ন এর একটি দেশ ইউক্রেনে জল স্থল অন্তরীক্ষে আগ্রাসন চালিয়ে শুধু যে ওই দেশে মানবিক বিপয্'য় ডেকে এনেছে তাই নয় আপাত দৃস্টিতে গোটা বিশ্বকে অথ'নতিক অস্থিরতায় ফেলে দিয়েছে।
আক্রান্ত ইউক্রেনকে নিয়ে মানবাধিকার ,গনতন্ত্র রক্ষাকারী তথাকথিত বিশ্ব মোড়ল দেশ গুলি রাশিয়ার বিরুদ্ধে বেশ উঠে পরেই লেগেছে ।নিষেধাজ্ঞা চলছে একের পর এক ।তাদের দেশে সম্পদশালী রাশিয়ান নাগরিকদের সম্পদ জব্দ করা চলছে বেশ জোরে শোরে ।রাশিয়াও বসে নেই তারাও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন বাইডেন সহ অনেকের উপর।রাশিয়ার ও চলবে নিষেধাজ্ঞা ।আশংকা অনেকের, না জানি তৃতীয় বিশযুদ্ধ বেধে যায়।নাহ ,তেমন কিছু হবার নয় ।পশ্চীমারা কোনো অবস্থাতেই যুদ্ধকে খুব সহজে নিজের ঘড়ে ডেকে এনে তাদের জনগণকে মানবিক বিপয'য়ের মুখে ফেলতে চাইবে না ।অস্ত্র গোলাবারুদ লাগে নেও যুদ্ধ করো তোমার দেশে, জিতলে ভালো কথা মরলে তোমরাই মরো ।
আমরা যদি একটু পেছনে ফিরে যাই দেখতে পাবো এই দেশ গুলিই জোট বেধে তাদের কারোর ই নিকট প্রতিবেশী নয় কোথাও গনতন্ত্র রক্ষার নামে কোথাও মানব ধ্বংসী অস্ত্র ধ্বংসের অজুহাতে সম্পদশালী ইরাক ,সিরিয়া লিবিয়াকে আবার লাদেনকে মারতে আফগাস্থানে যত প্রকার মারনাস্ত্র আছে তার পরিক্ষা চালিয়ে অকাতরে লাখ লাখ মানুষের প্রাণ নিয়ে দেশ গুলিকে নরককুন্ড বানিয়েছে।চলমান বত'মানে, ইয়েমন এ মানবাধিকার লংঘিত হচ্ছে, আফগানস্থানকে ধংসস্তুপ করে এসে অথ'নতিক সাহায্যদান বন্ধ এবং তাদেরই অথ' জব্দ করে দেশটিকে মানবিক বিপয'য়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে।কাশ্মীরে হত্যা নিযা'তন চলছে তো চলছে।বি্শ্বের একমাত্র উন্মুক্ত কারাগার ফিলিস্তিনে দখলদার ইসরাইলীরা নিম'মভাবে ফিলিস্তিনীদের হত্যা করছে ঘরছাড়া করছে যুগের পর যুগ।তখন কিন্তু মানবাধিকার লংঘিত হয় না ।বরং দেখা যায় কোনো না কোনো ভাবে সকল প্রকার সাহায্য সহযোগীতা করে অত্যাচারীকে উৎসাহ দিয়ে তাদের বরব'তাকে বেগবান করতে তাদের হাতকে আরো বেশী শক্তিশালী করা হচ্ছে। এভাবেই আমেরিকা আর তার দোসর পশ্চিমাদের বণ'বাদী দুমুখো নীতির চেহারা প্রকাশিত হয়ে গেছে।
তখন যদি ইরাক,লিবিয়া,সিরিয়া আফগানিস্থানে আগ্রাসন চালিয়ে মানবতাকে ভুলুন্ঠিত না করতাম ।যদি মাত্র ১৮ দিনের নিযা'তিত ইউক্রেনবাসীর পাশে দাড়ানোর মতো ৭০ বছরের অধিক সময় থেকে নিযা'তিত ফিলিস্তিনিদের পাশে দাড়িয়ে দখলদার ইসরাইলীদের অমানবিক নিষ্ঠুর আচরণ বন্ধ করতে বাধ্য করতাম।যদি সৌদি জোট কে ইয়ামেনে ধংসযজ্ঞ থেকে বিরত রাখতে পারতাম।তবে হয়তো যতই পরাশক্তি হওক পুতিন তার রাশিয়াকে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর আগে আরো দশবার ভাবতে হতো।আশংকা হয়, রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমনে উৎসাহিত হয়ে না জানি কখন চীন তার দাবীকৃত তাইওয়ানের দিকে অগ্রসর হয়।সবচেয়ে বড় যে প্রশ্ন তা হচ্ছে ওয়ারশজোট ভেংগে দেওয়া নিঃসন্দেহে আমেরিকার একটা বড় বিজয় ।কিন্তু ন্যাটো জোট থাকবে কেন ? আর থাকলে থাকুক তা সম্প্রসারণ করতে হবে কেনো ?রাশিয়ার আগ থেকে তার সীমান্ত পয্য'ন্ত ন্যাটো সম্প্রসারণ নিয়ে ঘোর আপত্তি ছিলো ।ইউক্রেন ই আজ এই ন্যাটো জোট ভুক্ত হওয়ার খায়েশে বলীর পাঠা ।তাই প্রশ্ন করতেই হবে এই ইউক্রেন ,ইয়ামেন, লিবিয়া, সিরিয়া , ইরাক আফগান সহ বিভিন্ন দেশে মানবিক বিপয'য় দায় কার ।বিশ্ব মোড়লরা কি পারবে কোনো দিন তাদের বণ'বাদী দুমুখো নীতি পরিহার করতে? জাতিসংঘ ও কি কোনো দিন আমেরিকা আর পশ্চীমাদের বন্ধন থেকে একেবারে মুক্ত হয়ে মেরুদন্ড সোজা করে দাড়িয়ে পারবে কি ভেটো ক্ষমতা প্রত্যাহার করতে ? জবাব একেবারে সোজা তা যেমন হবার নয় তেমনি বিশ্বের উন্মুক্ত নীলাকাশে শান্তির পায়রা ওড়ার সম্ভাবনাও নাই।কেবলই অপেক্ষা না জানি কখন কার আগ্রাসীতে মানবতার ধ্বংস কারী কোন এক মারনাস্ত্রের অগ্নি কুন্ডে জীবন বাতি নিভে যায়।
No comments:
Post a Comment
Note: Only a member of this blog may post a comment.