Monday, October 28, 2024

পারবেন কি রাস্ট্র মেরামত করতে ?

গত ০৮-১০-২৪ ইং প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায় সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল বলেন  বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় দূগা'পূজা উপলক্ষে প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনা অবাঞ্চিত এবং ভারত মনে  করে সামাজিক সম্প্রীতি রক্ষার উৎসবের ক্ষেত্রে এসব ঘটনা প্রকৃত বার্তা দেয় না। তিনি জানান সংখ্যালঘুদের ওপর সাম্প্রতিক আক্রমণ সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছে ভারতের উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছে। তিনি আশা করেন সেই সুরক্ষা সংখ্যালঘুদের দেওয়া হবে।’

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হাসিনা সরকারের পতনে ভারতের  মোদী সরকার ভীষণ ভাবে ব্যথিত মমা'হত হয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।ক্ষোভে বিভিন্ন নেতাদের উস্কানিমূলক বক্তব্য তো আছেই, অনেকের মতে ইচ্ছাকৃত বাধের পানি ছেড়ে দিয়ে বন্যায় প্লাবিত করা হয়েছে বাংলদেশকে, সীমান্তে টাগে'ট কিলিং এর মাত্রা বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে।ইতিমধ্যে দুইজন সনাতন ধর্মালম্বী সহ বেশ ক'জন  বাংলদেশীকে হত্যা করা হয়েছে।সাধারণ  মানুষের অভিমত  দেশের ভেতরের বিভিন্ন গোষ্ঠীকে বিভিন্ন দাবিতে রাস্তায় নামিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি নষ্ট করে দাঙ্গা বাধাবার জোর প্রপাগাণ্ডা চালানো হচ্ছে। 

দীঘ’ একটানা ষোল বছর ক্ষমতায় থেকে দেশের প্রতিটি সেক্টর রাজনৈতিক দলীয়করণ করায় হাসিনার পদত্যগ এবং দেশত্যাগের সাথে সাথে মন্ত্রী-এমপি,মেয়র-কমিশনার, বড়কতা’ এমন কি জাতীয় মসজিদের খতিব সহ সবাই গাঢাকা, আভ্যন্তরীন শান্তি-শৃংখলায় নিয়োজিত থানা,পুলিশ শুন্য ছিল।একটা রাষ্ট্র পরিচলনার জন্য প্রয়োজনীয় সকল ক্ষেত্র  পুরা প্রশাসন একেবারেই বিশৃংখল ছিল।এমনই প্রতিকূল অবস্থায় ইনটেরিম সরকার ক্ষমতায় বসতে না বসতে সুশৃংখল আনসার বাহিনী সহ  একের পর এক  দাবি নিয়ে  ব্যনার নিয়ে অসংখ্য দল রাস্তায় নেমেছে ।ইনটেরিম সরকারে ক্ষমতায় বসার দুই মাস পার হয়েছে কিন্তু দাবি আদায়ের আন্দোলন অদ্যাবধি  বন্ধ হয় নাই। বিভিন্ন ব্যানার নিয়ে,দাবী নিয়ে আমাদের হিন্দু সম্প্রদায়ের কিছু ভায়েরা  সেদিনও রাস্তায় নেমেছিলেন।এখনো ঢাকার শাহবাগ-শহীদ মিনারে,চট্টগ্রাম সহ অন্যান্য শহরে  প্রায়শঃ সমাবেশে করছেন শ্লোগান দিয়েছেন"দিতে হলে রক্ত আরও দেবো রক্ত" "রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়"।

সম্ভবতঃ আগষ্ট মাসে আন্দোলনরত হিন্দু ভাইদের একজনকে বলতে দেখলাম তাদের দাবী যদি মানা না হয়, তাদের নিরাপত্তা যদি না দেওয়া হয় তারা সবাই ভারতে চলে যাবে। যেহেতু তারা বাংলাদেশে থাকতে পারছে না ভারতেও মুসলিমরা থাকতে পারবে না। এমন হুমকি দেশ-প্রেমিক কারো কাছ থেকে কাম্য নয়।সাংবাদিকরা যখন আন্দোলনকারীদের একজনকে প্রশ্ন করলেন  আপনি কোন থানা থেকে এসেছেন তিনি নিজ থানার নাম বলতে পারলেন না উল্টো প্রশ্নকারীর উপর  মারমুখী হয়েছেন ,হওয়ার কারণ কি? বলতে পারবেন আপনার প্রতিবেশী মুসলিম ভাই কি সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে নিরাপদ? বিরোধী রাজনীতি করায়, কিংবা ব্যক্তিগত আক্রোশে, কিংবা দুব'ল হওয়ায় তারা বা তাদের বাড়ি কি নিরাপদ ? 

গত ২৫/১০/২৪ ইং সনাতনী গণজাগরণ মঞ্চের আয়োজনে আট দফা দাবী আদায়ে চট্টগ্রামে গণসমাবেশ করেছেন।অন্যন্য দাবীর সাথে সাথে সংখ্যানুপাতে সংসদে আসন বিন্যাসের দাবী জানিয়ে প্রয়োজনে ভোট বজ’নের কথাও বলেছেন।দাবী আদায়ে দেশের বিভাগ ও জেলা সমুহে সমাবেশের পর ঢাকা অভিমুখে লংমাচ’ করবেন বলে নেতারা জানিয়েছেন।আমরা বুঝিনা নাকি নাকি না বোঝার ভান করি ।ইনটেরিম সরকার কেবল শুধু দাবী পূরনের জন্য বসেন নাই।তাদের কাজ রাষ্ট্র সংস্কার করে অতিদ্রুত রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা ।দাবি দাওয়া থাকবে, আন্দোলন হবে কিন্ত কোনটা সময় আর কোনটা সময় নয় ভাবতে হবে।এসব দেখে বিগত পনের বছর যারা গুম-খুন,মামলা-হামলায় নিপীড়িত-নিযা’তিত,যারা জুলাই আগষ্টে আপনজন হারিয়েছেন, দেখেছেন সন্তানসম কিশোর ছাত্রদের গুলিবিদ্ধ লাশ, দেখেছেন প্রতিবাদী জনতার রক্তে রক্তাক্ত হতে রাজপথ,দেখেছেন হত্যা করে লাশ পুড়িয়ে ফেলার মত নিষ্ঠুরতম ঘাতকদের কাজ।তারা ভাবতেই পারেন এতো সব দাবী নিয়ে রাস্তায় আন্দোলন হুমকী-ধামকী উদ্দেশ্য  জাতি- ধম' নিব্বি'শেষে আমাদের ছেলে-মেয়েরা যে বিজয় অজ'ন করেছে তা ভুলুন্ঠিত করে "আগে ভালো ছিলাম " কথা প্রতিষ্ঠিত করা। রাষ্ট্র সংস্কার বাধাগ্রস্থ করে ইনটেরিম সরকারকে ব্যথ’ করে পতিত সরকারকে পূন’বাসিত করার ষড়যন্ত্র, ভুল হবে কি?

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে ধম’-বণ’ নিব্বি’শেষে সবাই রাস্তায় নেমেছিল।বিজয়ের আগ-পরে এমন কোনো ঘটনার কথা শুনি নাই সনাতন ধর্মাবলম্বী ভাইদের কাউকে শুধু ধমে’র কারণে সাম্প্রদায়ীক দাঙ্গায়  রক্ত দিতে হয়েছে?রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ,ব্যক্তিগত শত্রুতায় ,অথ'নৈতিক লোভ-লালসায় ধম'-বণ নিব্বি'শেষে কেউ না কেউ রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে আক্রান্ত হয়।ক্ষমতাসীনদের  ছত্রছায়ায় থেকে  হত্যা-জুলুম নিযা'তন করে/ নিযা'তনকারীর সহযোগী হয়ে দাপট দেখিয়ে সুবিধা নিলাম।যখন ক্ষমতাচ্যুত হলাম নিযা'তিতরা প্রতিশোধ নিতে গেলে তখন আমি  নিরাপরাধ  সংখ্যালঘু তা কি করে হয় ?অপরাধীর পরিচয় ধম' দিয়ে নয় অপরাধ দিয়ে হতে হবে।তবে অবশ্যই কোনোভাবেই আইন কাউকে নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার দেয়া যাবে না। সুখের বিষয় চারিদিকে এতো এতো প্রপাগাণ্ডা কিন্তু  বাংলাদেশে দেশ-প্রেমিক ধম'-বণ' নিব্বি'শেষে  মানুষের ঐক্যের কারণে অদ্যাবধি ধমে'র কারণে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কোনো নজির নাই।ভারতে বাবরী মসজিদ সহ অসংখ্য মসজিদ, অন্যান্য সংখ্যা লঘুদের উপাসনালয় ভাংগা, নামাজ পড়তে না দেওয়া, গুজরাট, দিল্লিসহ ভারত জুড়ে দাংগা, গরুর মাংস রাখার অজুহাতে জয় শ্রীরাম  বলে হাজার হাজার মানুষ হত্যাসহ  কি হচ্ছে না ভারতের সংখ্যা লঘুদের উপর ? ফিলিস্তিনিদের উপর ইজরাইলীরা যেভাবে নিপীড়ন নিযা'তন করে ভারতের মুসলমানদের উপর সরকারের মদদে ঠিক একই পন্থায় নিপীড়ন নিযা'তন চলছে।একবার ভাবুন, কেমন আছি আমরা সবার সমান অধিকারের শান্তি ও সম্প্রীতির বাংলাদেশে ?

বাংলাদেশ থেকে অনেক সনাতন ভাইয়েরা ভারতে পাড়ি দিয়েছেন এটা অসত্য নয় ,কিন্তু শুধু অত্যাচার-নিপীড়ণেই পাড়ি দিয়েছেন সেটা  বোধহয় সঠিক নয়।কারণ হিন্দু ভাইদের তীথ’স্থান ভারত ,বিশ্বের একামাত্র বৃহত্তর হিন্দু রাষ্ট্র। সুযোগ সুবিধা ভালো হলে শুধু বাংলাদেশ কেন বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত থেকে যে কোনো হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক ভারতে ছুটে আসবে।তেমনি সু্যোগ পেলে যে কোনো মুসলমান ,বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত থেকে মক্কা-মদীনায় ছুটে যাবে এটা কোনো অস্বাভিক ঘটনা নয়।ভাল আয় করার জন্যও শেষ সম্বল ভিটে মাটি বিক্রি করা লক্ষ লক্ষ টাকা খরছ করে মৃত্যুকে হাতে নিয়ে অনিশ্চিত সুখের আশায় পাড়ি দিচ্ছে অসংখ্য যুবক মরুভূমি-মহাসাগর।মরুভূমিতে শুকিয়ে মরছে মহাসাগরে ডুবে মরছে কিন্তু যাওয়া বন্ধ নাই। 

বিশ্বের অতি ঘনবসতিপূন’ বাংলাদেশ বিভিন্ন ধমা’লম্বীর মানুষের শান্তিপুন ’সাম্প্রদায়ীক সম্প্রীতির সহাবস্হান বিশ্বে ঈষ’নীয় তাতে কোন সন্দেহ নাই।তা নিয়ে আমাদের অহংকার আছে।তবে ব্যাতিক্রম ও আছে এবং থাকাটা এতো  মানুষের এতো এতো মতে একেবারেই অসম্ভব কিংবা অস্বাভাবিক নয়। কারণ এই দেশেই স্বাথে’র কারণে বাপ-বেটা,ভাই-ভাই মারামারি খুনাখুনি হয়।সামান্য কথা থেকে দুই গ্রামের মানুষ রক্তক্ষয়ী সংঘ’ষে  লিপ্ত হয়।আজ অনেকেই আমাদের বন্ধু, আবার অনেকে চায় না সম্প্রীতি আর ভ্রাতৃত্বের অটুট বন্ধনে রাজনৈতিক সামাজিক স্থিতিশীলতায় এদেশের অথ’নৈ্তিক উন্নতি। ভয়,যদি তাদের দেশেরই কোনো গোষ্ঠী বাংলাদেশের অগ্রগতিতে অনুপ্রাণিত হয়ে স্বাধীনতার ডাক দেয় ।তাই কখনো রাজাকার-মুক্তিযোদ্ধা, কখনো স্বাধীনতা স্বপক্ষ-স্বাধীনতার বিপক্ষ, কখনো আবার হিন্দু-মুসলিম , কখনো পাকিস্তানী গোয়েন্দাদের নিয়ে কল্পকাহিনী বানিয়ে  জাতীকে বিভক্ত  করে এই দেশ ও দেশবাসীর উপর কর্তৃত্ব করার  চেষ্টা আগেও ছিল এখনো আছে এবং নিঃসন্দেহে ভবিষ্যতেও থাকবে।সবাইকে দেখানো স্বাধীনতা পেয়ে কি লাভ আমাদের কথাই তাদের  মানতে হয়।

আমরা কেনো ভাবি না প্রতিবেশী দুই বাড়ির অথবা দুই গ্রামের দুই সম্প্রদায়ের দুই জনের সাথে আথি'ক দেনা পাওনা নিয়ে, ক্ষমতার দ্বন্দে,রাজনৈতিক মতভেদের কারণে সংঘাত হানাহানি হতেই পারে।হতে পারে দুব'লের উপর সবলের আগ্রাসী কোনো কম'কান্ড।এক্ষেত্রে প্রয়োজন সম-অধিকারের আইনের সুষ্ঠ প্রয়োগ এবং ন্যায় বিচারের মাধ্যমে দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ।ডঃ ইউনুস ঠিকই বলেছিলেন "আমাদের গণতান্ত্রিক যে আকাঙ্ক্ষা, সেখানে আমরা বিবেচিত মুসলমান হিসেবে নই, হিন্দু হিসেবে নই, বৌদ্ধ হিসেবে নই; মানুষ হিসেবে। আমাদের অধিকারগুলো নিশ্চিত হোক।"কিন্তু দেখছি শুকর যেমন কেবলই ময়লা শুকে বেড়ায় তেমনি আমাদেরই অতিমাত্রিক অসাম্প্রদায়িক ঝান্ডাধারী কোনো কোনো সুশীলজন যে কোনো দুই সম্প্রদায়ের ব্যাক্তির মধ্যে সংঘটিত অপরাধের মাঝে সাম্প্রদায়িকতার গন্ধ শুকতে।ছোটবেলায় হিন্দু শিক্ষকদের সান্নিধ্যই বেশী পেয়েছি,স্নেহ ভালোবাসায়,কে দিদি কে আপু কে মাসী আর কে খালা তফাৎ বুজতে পারিনি।সাম্প্রদায়ীক-সম্প্রীতির শব্দ শুনেছি বলে মনেও করতে পারিনা।অথচ এখন তার চলছে যথেচ্ছা অপ-প্রয়োগ।মনে হয় আমরা যতই শিক্ষিত হচ্ছি নিজেদের মানবিক বলছি,যতই দাবী দাওয়া পদ-পদবি নিয়ে হরেক রঙ্গের সংগঠন হচ্ছে, রাজনীতিকে ধমে’র চাদরে ঢেকে ফেলছি অথবা ধম'কে রাজনীতিকরণ করছি ততই যেনো আমাদের মাঝে একের প্রতি অপরের আস্থা হারিয়ে সন্দেহ বাড়ছে  সম্প্রীতি কমছে আর দিন দিন দানবে পরিণত হচ্ছি।ভাতৃত্ববোধ,মায়া-মমতা কমছে।দেশ প্রেম এখন কেবলই বক্তৃতা-বিবৃতির চেতনা নামক শব্দে সীমাবদ্ধ।

আমেরিকায় দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রীদ্বয়ের আলোচনায় আশা করেছিলাম এতো দিনে ভারতের শোক প্রশমিত হওয়ার। কিন্তু  হয় নাই।তাই অতি আবেগি হয়ে অতি দ্রুততার সাথে যাচাই বাছাই ছাড়া মিথ্যাচারের মাধ্যমে ভারতীয় পররাষ্ট্র  মুখপাত্র সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন।পূজায় সরকার নিছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছিলেন যাতে কোনো সন্ত্রাসী দুষ্টচক্র কোন প্রকার অঘটন ঘটিয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরী করতে না পারে।সরকারের পদক্ষেপের সাথে সাথে পাড়া-মহল্লায় সকলেই সজাগ ছিল যাতে কেহ দেশে শান্তি-সম্প্রীতি নস্ট করার সুযোগ না পায়। তারপরও কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে/ঘটানোর চেষ্টা চলেছে, প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে।ভারতের সেখানেও কুম্ভিরাশ্রুর শেষ নাই।তারা বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে শংকিত কিন্তু বিহারে মন্ডপে সন্ত্রাসীরা গুলি চালিয়েছে তার খবর নাই।ভারতের  নেতাদের  ভাবা প্রয়োজন আঠার কোটী মানুষের প্রতিবেশী দেশ অস্থিতিশীল করতে চাইলে। বিভিন্ন জাতি-গোষ্টীতে ভরপুর দেড়শো কোটী মানুষের দেশে তার প্রভাব পড়তে পারে।আঞ্চলিক শান্তি-সম্প্রীতিতে সবাই সমৃদ্ধ হতে হলে দাদা সুলভ দাম্ভিকতা ত্যাগ করে ভাবা উচিত কোনো বিশেষ ব্যক্তির সাথে রাষ্ট্রের নয়, রাষ্ট্রের সাথে রাষ্ট্রের, রাষ্ট্রের মানুষের সাথে রাষ্ট্রের মানুষের সু-সম্পক’ গড়তে হবে। নেতা-নেত্রীর নয় প্রতিবেশি দেশের জনগণের প্রতি,তাদের আকাংখার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে।

দেশে গেরুয়াধারী সনাতন ধমী’য় নেতাদের জয়শ্রীরাম বলে আন্দোলনের ডাক, কেহ আবার কালেমা খচীত কালো এবং সাদা পতাকা নিয়ে দিচ্ছে খেলাফতের ডাক, পাহাড়ে অশান্তির কালো ছায়া, ইনটেরিম সরকারের সহনশীলতায় পতিত সরকারের সহযোগীদের সোশাল মিডিয়ায় গুজব, পতিত সরকারের রেখে যাওয়া প্রশাসনে মন্থরতা অতি সম্প্রতি প্রকাশ্যে কারো কারো সরকারের বিরোধীতা, একই মামলায় পূবে’র ন্যায় শত শত আসামী করা, রাজনৈতিক নেতাদের দ্রুত নিবা’চন করে ক্ষমতায় যাওয়ার খায়েশে অতি-অস্থিরতা,নিয়ন্ত্রণহীন অস্থির এবং উদ্ধ’মুখী বাজারের দ্রব্যমূল্য। দেশের সাধারণ  মানুষ সত্যিই  আজ  বড় বেশি শংকিত। দেশের ভেতরে-বাহিরে চলমান ষড়যন্ত্র, একে অপরের প্রতি আস্থাহীন, শ্রদ্ধাবোধহীন, ভ্রাতৃত্ববোধহীন,সহমম্মি’তাহীন, দেশপ্রেমহীন মানুষের নিজেদের সংস্কার ছাড়া এতোবেশি প্রতিকুলতায় গুটি কয়েক অরাজনৈতিক উপদেষ্টাগণ  দীঘ’দিনের রাজনৈতিক জঞ্জাল মুক্ত করে পারবেন কি রাস্ট্র মেরামত করতে ?

https://www.youtube.com/channel/UCO9Em15PgixJY8mgVh78rjA

পূর্ব পরিকল্পিত গণহত্যা চলছে গাজায়

গাজায় ইজরাইলীদের বব্ব’রতম অভিযানের একবছর অতিক্রান্ত হয়ে গেছে।গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের বরাতে জানা যায় ১০ অক্টোবর,২৪ পয্যন্ত ৪২ হাজারের অধিক মানুষ নিহত হয়েছে এবং ৯৮ হাজারের অধিক মানুষ আহত হয়েছে যার অধিকাংশ নারী ও শিশু। মসজিদ,চাচ’,গীজা’,শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বড় বড় হাসপাতাল সহ সকল স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র, আবাসিক এলাকার ৮০শতাংশ অবকাঠামো মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়া হয়েছে।বিদ্যুত পানি সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে।রাস্তা বুলডোজার দিয়ে চলাচলের অযোগ্য করা হয়েছে।যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করা হয়েছে।লক্ষ লক্ষ বাস্ত্চ্যুত গাজাবাসীকে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন কাটাতে হচ্ছে।কোথাও মাথা গোজার ঠাই নাই তবুও চলছে নিষ্ঠুর বিমান হামলা। অসহায় মানুষ বাচতে এখান থেকে ওখানে ছুটছে মরছে অকাতরে।ইতিহাসের হিটলার কতৃক ইহুদী নিধনের কুখ্যাত হলোকাষ্ট বব্ব’রতা আজ সেই কুখ্যাত হলোকাষ্ট থেকে বেচে এসে প্যালেষ্টাইনে আশ্রয় নেয়া ইহুদীদের অমানবিক নিব্বি’চার ফিলিস্তীনি নিধন যেন সেই নাৎসি বব্ব’তাকে ম্লান করে দিয়েছে।মানবতার ধারক-ইউরোপ-আমেরিকার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগীতায় ঘটছে এই নারকীয় বব্ব’রতা।

আফসোস প্রতিবেশী আরব নেতারা যেন দেখেও কিছুই দেখছে না, আরবলীগ ওআইসি  মাঝে মাঝে বিবৃতির ঝাকি খুলে আবার একেবারে নীরব।তথাকথিত সভ্য বিশ্বের নেতা, গণতন্ত্রের রক্ষক,বাক-স্বাধীনতার রক্ষক মানবতার রক্ষকগণ শুধু হাইলাইট করছে ৭ই অক্টোবর ২০২৩-এ হামাসের  ইজরাইলে হামলা।কিন্তু তারা কখনো মূল কারণ বিবেচনা করে নাই। তারা নিপীড়িত নিযা’তিত ফিলিস্তিনিদের সন্ত্রাসবাদী বলছে।কিন্তু বছরের পর বছর ধরে আগ্রাসী হানাদার ইসরায়েলিরা ফিলিস্তীনিদের যেভাবে হত্যা করে যাচ্ছে যাদের বেশির ভাগই শিশু এবং নারী,ফিলিস্তীনিদের বসতবাড়ী থেকে উচ্ছেদ করে তা দখল করছে তা আমলে আনা হয় না।এভাবেই ফিলিস্তীনি ভুমিকে সংকুচিত করা হয়েছে।দীঘ’ ৭৫ বছরে নিপীড়ন-নিযা’তন সহ্য করে,রক্ত দিয়ে,জীবন দিয়ে ভুমি দিয়ে তারা  যে শিক্ষা নিয়েছে হানাদার দানব ইজরাইলীদের কাছ থেকে সেই একই কায়দায় পুঞ্জীভুত ক্ষোভের প্রতিশোধ নেওয়া হয়েছিল ৭ই অক্টোবরে।

ফিলিস্তীনিদের নিয়ে অনলাইনে একটা নিবন্ধ পড়েছিলাম সম্ভতঃ ২০১৭ সালে।কোথায় প্রকাশিত হয়েছিল তা মনে নেই।হোয়াইট হাউসে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট আব্বাসের মধ্যে আলোচনা হয়।আলোচনা শেষে প্রেসিডেন্ট আব্বাস দেশে ফিরে  সাংবাদিকদের বলেছিলেন সেই আলোচনায়  ট্রাম্প তাকে বলেছেন প্যালেস্টাইনে শান্তির জন্য ফিলিস্তিনিদের বড় ত্যাগের প্রয়োজন হবে তবে বিস্তারিতভাবে তিনি আর কিছুই বলেন নাই। একইভাবে ট্রাম্পের সাথে আলোচনা করে মিশরের কায়রোয় ফিরে এসে প্রেসিডেন্ট সিসি বলেন, খুব শীঘ্রই  মধ্যেপ্রাচ্যে একটা বড়পরিবর্তন আসছে কিন্তু তিনিও বিস্তারিত কিছুই বলেন নাই।সারা বিশ্ববাসী দেখছে ১০ অক্টোবর ২০২৩ এর হামাসের ইজরাইলের অভ্যন্তরে হামলার প্রতিশোধ নিতে যে দানবীয় ধংসযজ্ঞ শুরু করেছিল তা আজও চলমান।তবে এই কি সেই ফিলিস্তীনিদের বড় ত্যাগ?

১৬ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪শে মিডল ইস্ট মনিটর বলেছে যে ইসরায়েলি প্রশাসন ফিলিস্তিনীদের সমুদ্র সীমায় প্রাকৃতিক গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য ইসরায়েলী এবং আন্তর্জাতিক ছয়টি সংস্থাকে লাইসেন্স দিয়েছে।ইসরায়েলি সংবাদপত্র হারেৎজ মার্চ-১৯,২০২৪শে প্রকাশ করেন " মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা এবং প্রধান পররাষ্ট্র নীতি উপদেষ্টা জ্যারেড কুশনার, গাজার সমুদ্র সীমাকে "খুব মূল্যবান"বলে বর্ণনা করেছেন এবং পরামর্শ দিয়েছেন যে ইসরায়েলকে গাজা থেকে ফিলিস্তিনি  নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়া উচিত এবং অঞ্চলটি " পরিষ্কার করা প্রয়োজন"। সেই ট্রাম্প আবার সম্ভবতঃ ২০২৫ নিবা’চনে ক্ষমতায় আসার অপেক্ষায়।

ইজরাইল কেবল সকল অবকাঠামো মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়ে ক্ষান্ত নয়। ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ক্ষুধাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে খাদ্যসহ সকল প্রয়োজনীয় জিনিসের সরবরাহ বন্ধ করেছে।  বিমান থেকে খাদ্য সামগ্রী ফেলা হলে সেই খাবার সংগ্রহের সময় বব্ব’র ইসরায়েলি বাহিনী ক্ষুদাত’ বেসামরিক মানুষকে গুলি করে হত্যা করেছে।গুলিতে আহত মানুষকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিতে বাধা দেয়া হয়েছে।গুলি করে ফিলিস্তিনিদের রাস্তায় ফেলে রাখা হয়েছে যতক্ষণ না রক্ত ঝরে কষ্ট নিয়ে মারা গেছে।গোলা ছুড়ে এম্বুলেন্স ধংস করা হয়েছে। জাতিসংঘের কমী’ ডাক্তার নাস’ সাংবাদিক কারো জীবনের নিরাপত্তার জায়গা নেই এখন আর গাজায়।ইজরাইলীদের নিম’মতা আর বব্ব’তার নতুন সংযোজন তাবুতে আশ্রয় নেয়া ফিলিস্তীনিদের মেরে পুড়িয়ে ফেলা।আহত অনেককে জীবিত গণকবর দিয়েছে।মানবতার সমস্ত নিয়ম লঙ্ঘন করে গাজাকে তারা আজ বিশ্বের বৃহৎতর কবরস্থান বানিয়ে ফেলেছে।আজ এটা দিবালোকে মতো সত্য পূর্ব পরিকল্পিত গণহত্যা চলছে গাজায় ।

শান্তিপ্রিয় বিশ্ববাসী দেখেছে ইজরাইল বার বার শান্তি আলোচনায় বসে সময় নিয়েছে আর গাজায় তার বাধাহীন গণহত্যা চালিয়ে গেছে। ইসরায়েলে নেতানিয়াহুর দেশের অভ্যন্তরে  রাজনৈতিক অবস্থান ভালো নয়। তিনি পোড়ামাটির নীতি গ্রহণ করে, যে কোনো মূল্যে হামাসকে ধ্বংস করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং যে কোনো ভাবে ক্ষমতায় থাকার জন্য নিজের ভাবমূর্তি গড়ে তোলার জন্য ৭ই অক্টোবর দেশের হারানো ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার করতে চায়। শান্তি আলোচনা চালিয়ে যেতে দেখেছি  বিশ্ববাসীকে শুধু ধোকা দেওয়ার জন্য।তারা এভাবেই  তাদের বাহিনীকে সংঘটিত করে সামরিক শক্তি বাড়ানোর জন্য সময় নিয়েছে।নিরাপত্তা পরিষদ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস করেও তা বাস্তবায়ন করতে ব্যর্থ হয়েছে।জাতিসংঘকে অকায’কর প্রতিষ্ঠানে পরিণত কড়া হয়েছে।

আরব লীগের নেতৃবৃন্দ, ইসলামী দেশগুলোর সংগঠনের নেতারাও ইসরায়েলের বর্বরতা বন্ধে যৌথভাবে চ্যালেঞ্জ জানাতে তাদের মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছে।সবাই দাপ্তরিক কাজ  আর  আলোচনা পর বিবৃতি দিয়ে দায়িত্ব সমাধা করেছে।আমেরিকার বিদেশ মন্ত্রী ব্লিংকিনের অতি ঘন ঘন মধ্যপ্রাচ্য সফর প্রকৃত যুদ্ধ বন্ধের জন্য ছিল না, ছিল গাজার গণহত্যায় আরব রাষ্ট্র নেতাদের নিরপেক্ষ রাখতে।সে তা পেরেছে।সব আরব রাষ্ট্র নায়ক আর বাদশা আজ আমেরিকা আর পশ্চীমাদেশ গুলির কাছে মাথা হেট করে আছে যাতে তাদের ক্ষমতা হাত ছাড়া না হয় স্থায়ীভাবে ক্ষমতায় থেকে যাতে সুখ ভোগ করা যায়।তাদের  আন্তর্জাতিক আদালতের (আইসিজে) ভূমিকাও ব্যতিক্রম দেখি না।তারাও গণহত্যার দায়ে ইজরাইলের বিরুদ্ধে কিছু করতে, গাজায় অসহায় মানুষকে রক্ষা করে মানবতাকে রক্ষা করতে শান্তিপ্রিয় বিশ্ববাসীকে আশ্বস্থ করার মতো কোন কাজ করে নাই।

যুদ্ধ আজ বিস্তৃত হয়েছে লেবাননে।হিজবুল্লাহকে ধংস করতে লেবাননকে গাজা বানানোর ঘোষণা দিয়েছে নেতানাইহু।হিজবুল্লাহ নেতা নসুরুল্লাহ সহ বেশ ক’জন শীষ’ স্থানীয় কমান্ডারকে হত্যার মাধ্যমে স্থল অভিযান শুরু করেছে ইজরাইল।স্থল অভিযানে সফল হতে না পারলেও বিমান হামলায় ধংসস্থুপে পরিণত করছে বৈ্রুত এবং আশে পাশের এলাকা।ইরানের সাথে হামলা ও প্রতি হামলার ঘটনা ঘটায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে গোটা মধ্যপ্রাচ্য।ইজরাইলীদের হামলা থেকে ফিলিস্তীনিদের রক্ষা করতে না পারলেও ইজরাইলের ভেতর ইরানের হামলার সময় জডা’ন তার আকাশ সীমায় ইরানী ক্ষেপণাস্ত্র ধংস করে ইজরাইলকে রক্ষা করছে।জডা’ন সহ প্রায় সকল আরব রাষ্ট্রে প্রকাশ্যে অপ্রকাশ্যে রয়েছে আমেরিকান ঘাঁটি।সুতরাং কোনো রাষ্ট্রনেতার পক্ষে সম্ভব নয় ইজরাইলের বিরুদ্ধে যাওয়া।ইরান হুমকী দিয়েছে ইরানের ভেতর আক্রমণে ইজরাইলকে সহযোগীতা করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

আমেরিকা ও জাতিসংঘের বিশেষ সুবিধা পেয়ে ইসরাইল আজ একটা দানবে পরিণত হয়েছে । ইজরাইলের প্রধান মন্ত্রী এখন প্রেসিডেন্ট বাইডেনকেও মানতে চায় না।মনে হয় ছাত্র তার শিক্ষকের চেয়ে বেশি স্মার্ট  এবং শক্তিশালী হয়ে উঠেছে।তারা এখন জাতিসংঘের মহাসচিবকেও ভিসা না দেওয়ার হিম্মত দেখাতে পারে।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইসরাইলের পক্ষে ভেটো ক্ষমতা ব্যবহারের কারণে জাতিসংঘের এখন ফিলিস্তিনিদের ব্যপারে বিশ্ববাসীকে মৌখিক পরিষেবা দেওয়া ছাড়া আর কিছুই করার নেই।বিশ্বের সভ্য দেশের নেতারা ইউক্রেন আক্রমণের জন্য রাশিয়ার সমালোচনা করছে।আক্রমণকারী আগ্রাসী রাশিয়াকে থামাতে ইউক্রেনকে সকল প্রকার সাহায্য সহযোগীতা করে যাচ্ছে।

ইরানকে পরমাণু প্রকল্প হাতে নেওয়ায় অবরোধ আর বিধিনিষেধ দিয়ে অবরুদ্ধ করা হয়েছে।কিন্তু আগ্রাসী দখলদার বব্ব’র ইজরাইলকে পরমানু অস্ত্রের অধিকারী হওয়া সত্বেও থামাতে চাইছে না, বরং ফিলিস্তিনিদের ওপর সব ধরনের অমানবিক বর্বরতম কর্মকাণ্ড চালিয়ে তাদের ভূমি দখল অব্যাহত রাখতে অস্ত্র-গোলাবারুদ সহ সকল সাহায্য সহযোগীতা দিয়ে অনুপ্রাণিত করে যাচ্ছে। তাই শান্তিকামী মানুষের প্রশ্ন গাজায় সকল অবকাঠামো ধংস করে মাটির সাথে  মিশিয়ে দেয়া হয়েছে আশি শতাংশ মানুষ গৃহহীন খাদ্য চিকিৎসা বঞ্চিত মানুষ অনাহারে আতংকে নিদ্রাহীন মানবেতর দিন কাটাচ্ছে।এতো অমানবিকতা,মানুষের প্রতি মানুষের এতো নিষ্ঠুরতা দেখার পর মানবতাবাদী মার্কিন-ইউরোপীয়ান নেতাদের দানব ইজরাইলকে গাজায় চলমান গণহত্যা বন্ধ করাতে বাধ্য করতে কবে বিবেক জাগ্রত হবে ?নাকি এই দানবকে দিয়েই মধ্য প্রাচ্যকে আমেরিকা ও পশ্চীমারা নরককুন্ড বানাবে?


https://www.youtube.com/channel/UCO9Em15PgixJY8mgVh78rjA