বিশ্বের অতি ঘনবসতিপূন’ বাংলাদেশ বিভিন্ন ধমা’লম্বীর মানুষের শান্তিপুন’সাম্প্রদায়ীক সম্প্রীতির সহাবস্হান বিশ্বে ঈষ’নীয় তাতে কোন সন্দেহ নাই।তা নিয়ে আমাদের অহংকার আছে।তবে ব্যাতিক্রম ও আছে এবং থাকাটা এতো এতো মানুষের এতো এতো মতে একেবারেই অসম্ভব ভাবা ঠিক নয়। কারণ এই দেশেই স্বাথে’র কারণে বাপ-বেটা,ভাই-ভাই মারামারি খুনাখুনি হয়।সামান্য কথা থেকে দুই গ্রামের মানুষ হানাহানিতে লিপ্ত হয়।আজ অনেকেই আমাদের বন্ধু, আবার অনেকে চায় না সম্প্রীতি আর ভ্রাত্ব্তের অটুট বন্ধনে রাজনৈতিক সামাজিক স্থিতিশীলতায় এদেশের অথ’নৈ্তিক উন্নতি। ভয়,যদি তাদের দেশেরই কোনো গোস্টী বাংলাদেশের অগ্রগতিতে অনুপ্রাণিত হয়ে স্বাধীনতার ডাক দেয় ।তাই কখনো রাজাকার-মুক্তি-যোদ্ধা, কখনো স্বাধীনতা স্বপক্ষ-স্বাধীনতা বিপক্ষ, কখনো আবার হিন্দু-মুসলিম এভাবে জাতীকে বিভক্ত করতে ঔৎ পেতে আছে।আমরা কেনো ভাবি না একই জায়গায় খালি দুটো কলসি থাকলেও তাতে ঠুকা-ঠুকি লাগবেই।তেমনি প্রতিবেশী দুই বাড়ির অথবা দুই গ্রামের দুই সম্প্রদায়ের দুই জনের সাথে আথি'ক দেনা পাওনা নিয়ে,ক্ষমতার দ্বন্দে,রাজনৈতিক মতভেদের কারণে সংঘাত হানাহানি হতেই পারে।হতে পারে দুব'লের উপর সবলের আগ্রাসী কোনো কম'কান্ড।কিন্তু অতীতে দেখেছি শুকর যেমন কেবলই ময়লা শুকে বেড়ায় তেমনি আমাদেরই অতিমাত্রিক অসাম্প্রদায়িক ঝান্ডাধারী কোনো কোনো সুশীল জন এবং ধামাধরা মিডিয়া যে কোনো দুই সম্প্রদায়ের একক ব্যাক্তির মধ্যে সংঘটিত অপরাধের মাঝে সাম্প্রদায়িকতার গন্ধ শুকতে।ছোটবেলায় হিন্দু শিক্ষকদের সান্নিধ্যই বেশী পেয়েছি,স্নেহ ভালোবাসায়,কে দিদি কে আপু কে মাসী আর কে খালা তফাৎ বুজতে পারিনি।সাম্প্রদায়ীক-সম্প্রীতির শব্দ শুনেছি বলে মনেও করতে পারিনা।অথচ এখন তার চলছে যথেচ্ছা অপ-প্রয়োগ।মনে হয় আমরা যতই শিক্ষিত হচ্ছি,যতই দাবী দাওয়া পদ-পদবি নিয়ে সংগঠন হচ্ছে,রাজনীতিকে ধমে’র চাদরে ঢেকে ফেলছি বা ধম'কে রাজনীতিকরণ করছি ততই যেনো আমাদের মাঝে সন্দেহ বাড়ছে সম্প্রীতি কমছে।ভাতৃত্ববোধ,মায়া-মমতা কমছে।দেশ প্রেম এখন কেবল চেতনায় সীমাবদ্ধ।
ভারতের পশ্চীমবঙ্গের ত্রিপুরাসহ বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত সংলগ্ন কয়েকটি প্রদেশের নিবা’চন।ক্ষমতাসীন বিজেপি চাইছে তৃণমূলকে হারাতে।বিজেপি সব সময় অভিযোগ করে আসছে তৃণমুল নেত্রী মমতা তাদের কথিত বাংলাদেশী মুসলিম শরণাথী’দের তার ভোট ব্যাংক বানিয়েছেন।ক্ষমতাসীন বিজেপি ইতিমধ্যে লক্ষ লক্ষ মানুষকে নাগরিক-পঞ্ছীর নিবন্ধন থেকে বাদ দিয়ে রেখেছে ।এখন অপেক্ষা শুধু বিতারণের।এমনি সময় এপার ওপার দু’পারে চলছিল হিন্দু ধমা’লম্বীদের ধমী’য় বড় উৎসব দূগা’ পুজা ।সবই চলছিলো ভালোই হঠাৎ একদিন সকালে সম্প্রীতি আর ভ্রাতৃ্ত্বের অনন্য দৃস্টান্ত কুমিল্লার এক মন্দীরে হুনুমান মূতি’র রানের উপর আবিস্কার হলো মুসলমানদের পবিত্র গ্রন্থ কুরআন। হিন্দু-মুসলিম কোনো ধম’প্রাণ কারো পক্ষে এটা করা একেবারেই অসম্ভব। এটা রাস্ট্র বিরোধী ষড়যন্ত্র যে না তা ভাবার কোনো কারণ নাই।ইসলাম তো নাই-ই অন্য কোনো ধমে' মানুষকে অমানুষ হ’তে বলে নাই।আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিমদের নিষেধ করেছেন।কোনো মুসলিম যেন কখনও অন্য ধর্মের উপাস্যকে গালাগালি না করে।কারণ পবিত্র কোরআনে আল্লাহপাক বলেন,হে ইমানদারগণ!তারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে যেসব দেব-দেবীর পূজা-উপাসনা করে, তোমরা তাদেরকে গালি দিও না। যাতে করে তারা শিরক থেকে আরো অগ্রসর হয়ে অজ্ঞতাবশত আল্লাহকে গালি দিয়ে না বসে। (সূরা আনআ’ম-৬:১০৮)। ইসলামে কোনো ব্যাক্তির অপরাধের দায় কেবলই অপরাধীর, তার সম্প্রদায়ের উপর দায় চাপানো যাবে না।কিন্তু যা হ’বার নয় তাই হ’য়ে গেলো।সেখানে আমরা কেহ না কেহ কারো কাছে বিক্রি হয়ে আবার কেহ হুজুগে বিবেকহীন আবেগ যাকে বলে ঊন্মাদ হয়ে প্রশাসনের উপর আস্থা না রেখে আইন নিজের হাতে তুলে নিলাম ।ইসলামের নামে মন্দির ভাঙ্গচুর করেছি নিরিহ মানুষের ঘড়ে আগুন দিয়েছি একে কেন্দ্র করে পুলিশের গুলিতে আহত নিহত হয়েছি।প্রশাসনের দ্রুত কঠোরতার সিদ্ধান্ত আত্মহননের উন্মাদনার লাগাম টানা সম্ভব হয়েছে ।কিন্তু হিসাব করতে বসে প্রশ্ন জাগে এই উন্মাদনায় ধমে’র কি লাভ হয়েছে,লাভ হয় নাই। আমাদের সৌহাদ্দ'আর সম্প্রীতির সহাবস্থানের অহংকার ধুলায় মিশিয়ে দিয়ে ক্ষতি করেছে মানবতার,ক্ষতি করেছে ভ্রাতৃত্ববোধ মায়া–মমতার,একের প্রতি অপরের বিশ্বাসের।
আমরা যারা নিজেদের প্রগতিশীল অসাম্প্রদায়িকতার ধারক বাহক বলে প্রচার-প্রচারণা করে বেড়াই দেখি তারাই বোধহয় আজ সবচেয়ে বেশি সাম্প্রদায়িক।নিজেদের আখের গোছানোর জন্য সাম্প্রদায়িক শব্দ যখন যেখানে সুবিধা মতো কাজে লাগাই।বিভিন্ন হুজুরের,রাজনীতিবিদদের মতো মাঠ গরম করা কথা নিয়ে ইসলামকে উদ্দেশ্যমুলকভাবে হেয় করার চেস্টা করি।আমরা একেকজন সম্পাদক,বুদ্ধিজীবি, শিক্ষাবিদ, কলামিস্ট, ইতিহাসবিদ কেউ কেউ আবার নিজেদের মানবাধিকার কমী’বলতে বেশ সাচ্ছ্যন্দ বোধ করি।পত্রিকায় সম্পাদকীয় লিখি,বড় বড় নিবন্ধ লিখে পত্রিকায় ছাপাই বিভিন্ন সেমিনার সিম্পোজিয়ামে বক্তৃতা দিয়ে খুশিতে গদগদ হয়ে গাল দুই কর্ণ অবধি প্রসারিত করি।আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে অপরাধীকে আইনের আওতায় এনে যথাযথ শাস্তি দাবি না করে কোনো প্রকার বাছ-বিচার না করে কোন সম্প্রদায়ের কাকে কোন সম্প্রদায়ের কে মেরেছে বলার সাথে সাথে অতীতে কি হয়েছিল সেটাও তুলে ধরে যে কোন অতি সাধারণ বিষয়কে সাম্প্রদায়িকতার রঙ্গে রাঙ্গিয়ে সমাজে-রাষ্ট্রের ভেতর একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটার উচকানির ব্যবস্থা করতে শুরু করি। তাদের কাছে মানুষ নয় ধমা'লম্বীটাই খুব বেশি বড়। আর সেই আক্রমণকারী যদি হয় দাড়ি টুপি ওয়ালা তা'হলে আর কথাই নাই।তাহলে হয়ে যাবে উগ্র মুসলিম মৌলবাদী।তাদের মতে সংবিধান সংশোধন করে রাস্ট্র ধম’ করায় যত অশান্তি।তাতে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ যদি মৌলবাদী রাস্ট্র হিসেবে চিহ্নিত হয় তাতে কিছু মনে করেন না।সংবিধানের গনতন্ত্র আর সমাজতন্ত যে অনেক আগে নিবা’সনে চলে গেছে তাতে তাদের কিছু আসে যায় না।নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাড়তি দামেও তাদের মাথা ব্যথা নাই।গুম খুন দেশের অথ’ লুন্ঠনকারীদের নিয়ে ভাবার সময় নাই।নিহতদের জন্য শোক কিংবা তাদের পিতা-মাতার প্রতি সামান্যতম সমবেদনা জানানোরও প্রয়োজন নাই।কারণ উন্নয়নের হালুয়া রুটি হারাবে কে ? কেনো পারি না অপরাধীকে অপরাধী বলতে,কেনো চাইতে পারি না রাস্ট্রের কাছে অপরাধীর উপযুক্ত শাস্তির দ্রুত বাস্তবায়ন করতে ? অন্যদিকে সমাজ এবং রাস্ট্রের মানুষের মাঝে বিভক্তির গবেষনা না করে,হুজুররা যে ভুল বলছে তা কুরআন হাদিস সহ বিভিন্ন ধম’গ্রন্থ পড়াশুনা করে সমাজ এবং জাতীর সামনে সঠিকভাবে তুলে ধরে সমাজ এবং জাতীর মাঝে বিবেকহীন আবেগি উন্মাদদের সঠিক পথ দেখাবার চেস্টা কেনো করি না।অথচ জাতীয় সংকটে এই আমাদেরই টিকিটি ও খুজে পাওয়া যায় না।আজ যে ধমে'রই হোক,ধমী'য় আচার আচারণ শিক্ষা ছাড়া মানুষ গড়া এবং মানবিক সমাজ গঠন অসম্ভব।কারণ ধম’ই মানুষকে মানবিক হওয়ার তাগিদ দিয়েছে।কোনো ধম’ই মানুষকে অমানুষ কিংবা অমানবিক হ’তে বলে নাই । অন্যদিকে ধম'বণ' নিবি'শেষে নিজেদেরকে বাংলাদেশী ভাবতে হবে নিজেদের সকলক্ষেত্রে সমান অধিকার নিশ্চিত মনে প্রাণে ধারণ-লালন পালন করে প্রকৃত দেশ প্রেমিক হ’তে হবে ।তা নাহ’লে দেশি-বিদেশি সুযোগ সন্ধানীরা তা কাজে লাগাতে চেষ্টা করবেই যাতে নিজেদের মাঝে বিভেদ তৈ্রী করে হানাহানিতে আমরা ধংস হয়ে যাই।
তাই আসুন অপরাধীকে হিন্দু না মুসলিম নিধা'রন করার কোনো প্রয়োজন নাই।অপরাধীর কোনো জাত নাই|যে অপরাধী তার উপযুক্ত শাস্তি হতেই হবে যাতে ভবিষ্যতে এমন কাজ করবার চিন্তাও কেউ করতে না পারে|সুতরাং অপরাধীর জাত পাত নিধা'রন করে সমাজ রাস্ট্রে হিংসা বিবাদ বাধানো থেকে আমাদের সবাইকে বিরত থাকতে হবে|আর ক্ষমতাসীনদের সব খারাপ কাজের জন্য উদর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপানোর থিউরি দিয়ে তদন্ত ছাড়া বিরোধী রাজনৈ্তিক নেতা কমী’দের দাবড়ানো থেকে বিরত থাকতে হবে।কারণ আগে আমরা জানতাম বৃহৎ রাস্ট্র তুলনামূলক ছোট রাস্ট্রের রাজনীতিতে নিয়ামকের কাজ করে,কিন্তু বত’মান যুগে প্রতিবেশী এক দেশ অন্যদেশের তা যতই ছোট হওক বিভিন্ন ধমা’লম্বীদের/বিভিন্ন গোত্রকে নিজ দেশের ভোট মৌসুমে ফায়দা লুটতে দাবার ঘুটি হিসাবে ব্যাবহার করছে। আমাদের মাঝেও লোভ লালসা প্রচন্ডভাবে বেড়ে গেছে। খুব অল্পতে আমরা বিক্রি হয়ে যাই যখন তখন যে কোনো কারো কাছে।তাই রাস্ট্রের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য তদন্তে ডোবায় বসে হাতড়ালে হবে না সমুদ্রে যেতে হবে।আঞ্চলিক এবং আন্তজা’তিক রাজনীতি,অথ’নীতিক, সামরিক আগ্রাসনকে মাথায় রাখতে হবে ।সঠিক এবং নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে গুড় দিয়ে পিপড়া আনা তারপর পিপড়া কবুতর খাওয়া,সেই কবুতর বিড়ালে খাওয়া,বিড়াল থেকে কুকুর তার পর দু'দল গ্রামবাসীর মারামারির গল্প থেকে শিক্ষা নিয়ে গুড়টা লাগিয়েছে কে তার চাইতে গুড়টা লাগানোর নিদ্দে'শ দিলো কে তাকে খুজে বার করতে হবে|সেই দায়িত্ব বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা তথা সরকারের|এর সফলতায় দুষ্টচক্র ভীত হ'বে আর ব্যাথ্য'তায় তারা আরো বেশি উতসাহিত হয়ে বার বার এমন অঘটনই ঘটাবে। রাস্ট্র পোড়া ঘড় নতুন করে গড়ে দিতে পারবে কিন্ত বারবার ভাঙ্গা মন ভাঙ্গা বিশ্বাস জোড়া লাগাবার সাধ্য কার।
https://youtu.be/IQPUPWUqv48
No comments:
Post a Comment