Thursday, December 12, 2019

উগ্র ধম্মা'ন্ধ সাম্প্রদায়িক নেতাদের বয়কট করি

ভারতের লোকসভার পর রাজ্যসভায়ওবিজেপি সরকার উত্থাপিত বিতর্কিত নাগরিক বিল পাশের মাধ্যমে অতি উগ্র সাম্প্রদায়িকতার বিষ বাষ্প শুধু ভারতেই নয় সম্ভবত গোটা দক্ষিণ পুব' এশিয়ায় ছড়িয়ে দিলো। মিঃ নরেন্দ্র মোদী দিতীয় বারের মতো ক্ষমতায় আসার পর সরকারের সরাসরি প্রশ্রয়ে  গোমাতা রক্ষার নামে মুসলিম নিধন নিগ্রহ ব্যপকভাবে বেড়ে যায়।এখন বিতর্কিত নাগরিক বিল পাশের মাধ্যমে টাগে'ট করে মুসলিমদের ভিটে মাটি ছাড়ার অমানবিক ব্যাবস্থা বোধ হয় পাকাপাকি করতে যাচ্ছে। ভারতের এটা আভ্যন্তরীণ বিষয় এখন আর ভাবলে চলবে না। আমাদের মনে রাখা ভালো জনপদ যখন আগুনে পোড়ে পাশে দেবালয়ও তা থেকে রক্ষা পায় না ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আধুনিক সভ্যতার যুগে ভারত অসভ্য এবং বব'র আইনের মাধ্যমে যে আগুন লাগাতে যাচ্ছে তাতে সে যতটুকু না পুড়বে তার  চেয়ে শতগুন আচে আমাদের সবাইকে পুড়তে হবে তাতে কোনো সন্দেহ নাই। খুবই দুরুহ,তবুও প্রথম থেকেই জোরালো প্রতিবাদ এবং প্রাক-প্রতিরোধের ব্যাবস্থা নিতেই হবে।   
আসুন আমাদের জাতীয় অনুষ্ঠানে বিশেষ করে স্বাধীনতার রজতজয়ন্তী, অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র নিমা'নের অবিসংবাদী নেতা জাতীর জনক বংগবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শত বাষি'ক উতযাপনে উগ্র ধম্মা'ন্ধ সাম্প্রদায়িক নেতাদের বয়কট করি তাদের আমন্ত্রণ জানানো থেকে বিরত থাকি। যদি নরেন্দ্র মোদীর মতো ধম্মা'ন্ধ উগ্রবাদী নেতাকে মঞ্চে উঠানো হয় তবে সেটা হবে জাতীর জনক অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র নায়ককে আরও একবার হত্যা করার সামিল।  
আমাদের দেশের তথাকথিত সুবিধাবাদি বুদ্ধিবেচি চেতনাধারী অসাম্প্রদায়িকতার ঝান্ডাধারী চেতনাবাজ সুশীল সমাজ আপনাদের এখন শোর উঠে না কেন ? 
https://youtu.be/IQPUPWUqv48

দুলে উঠবে টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া

বেশ ক'দিনের জল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে আবার বিদ্যুত এর খুচরা ইউনিট প্রতি ২১% মুল্য বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।প্রস্তাব মানেই হচ্ছে জনগণের উপর নতুন বোঝা  চাপিয়ে দেওয়া এখন মাত্র সময়ের ব্যাপার।কিন্তু কেনো এই মুল্য বাড়ানোর প্রস্তাব? মাত্র ক'মাস আগে গ্যাসের মুল্য বাড়ানো হয়েছে বছর না ঘুরতে আবার বিদ্যুত এর মুল্য। ফলাফল বাজারের সব কিছুর মুল্যে যে উল্লোফন দেখা দেবে তা সামলাবে কে? নাকি এক্ষেত্রেও পেয়াজ খাওয়া বন্ধ করার মতো আবার বিদ্যুত ব্যবহার বন্ধ করতে  বলবেন ? 
একজন সাধারণ অজ্ঞ মানুষ হিসেবে মুল্য বাড়ানোর যুক্তি শুনতে এবং বুঝতে  চাই না।শুধু বুঝি এর ফলে সামনের দিনে আমাদের জীবনের চাকা  চালানো কষ্টকর হবে। অতি ভাগ্যবান সরকারি কম'কতা' কম'চারী এবং ভালো কোনো দেশী-বিদেশী কোম্পানিতে কম'রত ব্যাক্তিগণের পয়সার ঘাটতি হয়তো-বা হবে না কিন্তু আত্নীয় সমাজ সংসারের অস্থিরতার আচে তারাও কি কম দগ্ধ হবে ? তাদেরই কোনো আচই লাগবে না যারা মানবরুপি দানব এদেশের বালিশ কান্ড, পদ্দা' কান্ড, বাশ কান্ড, ব্যাংক লুট, শেয়ার বাজার লুটের কান্ডের মতো হাজারো কান্ড  দিয়ে সবকিছু লুটে দেশে বিদেশে টাকার পাহাড় গড়েছে।     
জানতাম কোনো প্রতিষ্ঠান খরচ  চালাতে না পারলে তার পরিচালনা পষ'দকে তার পন্যের মুল্য বাড়ানোর আগে প্রতিষ্ঠানের  কিছু আভ্যন্তরীণ সংস্কারের পদক্ষেপ নিতে হয় ব্যায় সংকোচনের জন্য। কিন্তু দুভা'গ্য জনগণের কর এর টাকায় লালিত পালিত কোনো সরকার কখনোই  সে কাজটি করে না। নিজেদের সুখ সাচ্ছন্দ্যের ঘাটতি হতে দিতে পারে না তাই একেবারেই সহজ সোজা চাপিয়ে দেওয়া হওক জনগণের ঘাড়ে।
আমরা চাই বিদ্যুত এর দাম বাড়ানোর আগে বিদ্যুত খাত এর ব্যায় সংকোচনের ব্যাবস্থা নেওয়া হওক,অপচয়/চুরি দুনী'তি দুর করা হওক।তারপর বাকিটা রাষ্ট্রীয় ভুত'কি দিয়ে হলেও বিদ্যুত এর  মুল্য বাড়ানো থেকে বিরত থাকা হওক।     
একটু অবাকই লাগে ক্ষমতার বাহিরের তথাকথিত জননেতারা ভুলে গেছেন তারা কাদের জন্য রাজনীতি করেন। কখন কিভাবে কিসের জন্য  আন্দোলন/প্রতিবাদ করতে হয়। তারা কি দেখছেন না মানুষ ঠকতে ঠকতে এখন নেতা নেত্রীদের  উপর তাদের আস্থা হারিয়ে ফেলেছে।ঘরে খাবার আর ঘুমানোর জায়গা থাকলে যতক্ষন নিজের উপর না আঘাত আসছে ততক্ষণ উহ শব্দ করতে ভুলে গেছে। নেতা নেত্রীরা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ড্রয়িং রুমে টেলিভিশনে দেখতে কি পান না শুধুমাত্র কাউকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য জীবন বাজী রাখার গনমানুষের এখন যেমন বড় অভাব তেমনি জনদরদী  মাটি ও মানুষের নেতারও বড় আকাল। চারদিকে কেবলই হতাশা।কোথাও নেই কোনো আশা, নেই কোনো ভরসা। অপেক্ষায় চেয়ে আছি দৃষ্টির শেষ সীমানায় আবার কবে দেখবো সেই জনদরদী নেতা দেশ মাতৃকার জন্য, জনগণের জন্য যার অংগুলি হেলনিতে দুলে উঠবে টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া।
https://youtu.be/IQPUPWUqv48