দেশে কারিগরি শিক্ষা দান অতি প্রয়োজন।যুগের সাথে তাল মিলিয়ে শেখা দরকার কিভাবে ড্রোন বানাতে হয় কিভাবে রকেট বানাতে হয়, কিভাবে চাঁদে যাওয়া যায় ইত্যাদি ইত্যাদি। শিক্ষিত এবং দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে যেখানে দরকার বিজ্ঞান প্রযুক্তির জ্ঞান সেখানে ডিম ভাজি, আলু ভর্তা বানানো, মশারী টানানো, ছেলে -মেয়ের শারীরিক অবস্থার শিক্ষা দান করার প্রয়োজন আছে কি?
শরীফ শরীফার গল্প তথা ট্রান্সজেন্ডার বিষয়ে জ্ঞানে যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক, দেশের অধিকাংশ শিক্ষিত সমাজ অন্ধকারে সেখানে ৭ম শ্রেণীর ছাত্র -ছাত্রীদের মাঝে এমনি বিতর্কিত' এবং সামাজিক মানদণ্ডে একেবারেই অপ্রয়োজনীয় বিষয়ে জ্ঞান দানের এতো প্রয়োজন হলো কেন ?" মন যা চায় তা পশুতেও করে পার্থক্য, মানুষের আছে বিবেক বুদ্ধি আর সংযম" কার লেখায় যেনো পড়েছি মনে নাই।জ্ঞান অজ'নে তো বাধা নেই বড় হয়ে যে যার চাহিদা মতো শিখবে জাতীয়ভাবে পাঠ্যপুস্তকে অন্ত'ভুক্ত করে বাধ্য করা হবে কেনো ?
আরো দেখলাম নুতন বছরের ছাপানো মাদ্রাসার বই এর মলাটে হারমোনিয়ামের গান গাওয়ার ছবি, ইসলাম ধম' শিক্ষার বই এর প্রথম মলাটে কুরআনের ছবি থাকলেও শেষের মলাটে দুগা'র ছবি নিয়ে সমালোচনা।শুনলাম অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোর -কিশোরীর প্রেম এবং অবিভাবকদের কারণে তাদের ব্যথ'তার পরিনতিতে কিশোরের বখে যাওয়ার গল্প। (ইসলাম ধম' শিক্ষা বই বিতরণের পরপরই তুলে নেওয়ার খবর বেরিয়েছিল।)
নীতি নির্ধারকগণের কাছে প্রশ্ন তারা এবং যারা আজ শিক্ষক,জ্ঞানী-গুনি বুদ্ধিজীবি, জজ- ব্যারিস্টার, ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার এবং অন্যান্য পেশায় প্রতিষ্ঠিত তাদের কারো কি বাস্তব জীবনে নতুন উদ্ভাবিত কারিকুলামের অভাব অনুভুত হয়েছে?
চারিদিকে বাদ-প্রতিবাদের মুখে শরীফ শরীফার গল্পটি পযা'লোচনার জন্য দ্রুততম সময়ে একটি কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন। আশা করি মলাটের ছবিসহ সমালোচিত বিষয়ে একই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।পুস্তকে বিতকি'ত ছবি প্রকাশ দেশে একটা নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি তৈরির ষড়যন্ত্র কিনা তার তদন্ত অতি জরুরী। অনুসন্ধানে যদি অসত্য প্রপাগাণ্ডা হয় দায়ীদের আর যদি ষড়যন্ত্র হয় ষড়যন্ত্রকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দেশ ও জাতীয় স্বাথে' তাদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে কেহ এমন ঘটনা ঘটাতে আগামীতে সাহস না পায়।
https://www.youtube.com/channel/UCO9Em15PgixJY8mgVh78rjA