জাতীয় নিবা'চন একেবারে দোর গোড়ায় দাড়িয়ে।নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধারক সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনে টানা ১৫ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি ও সম-মনা দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। অন্যদিকে টানা ৮ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামীলীগ।সরকার দলীয় এবং তাদের অনুসা্রী ব্যতিত সবাই নিরপেক্ষ নিদ'লীয় সরকারের অধীনে ছাড়া নিবা'চনে যাবে না বলে এক দফায় অনড়।প্রতিদিন একপক্ষের ধমক আবার অন্যপক্ষের পাল্টা ধমক , একদিকে সরকারের পদত্যাগের ডাক অন্যদিকে প্রতিরোধের ডাক।নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের লাগামহীন উধ্ধ'মুখী মুল্যে নাভিশ্বাস জন-জীবন।সব দলের নেতারাই রাজপথ দাপিয়ে মঞ্চ কাপিয়ে বেড়াচ্ছেন । কারো উদ্দেশ্য থাকতেই হ'বে ক্ষমতার মসনদে অথবা আবার কারো বসতেই হ'বে ক্ষমতায়।রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের মারমুখী আচার আচরণে মানুষের মাঝে আতংক না জানি কখন কি হয়ে যায় ।
একসময় প্রজাতন্ত্রের কম’কতা’-কম'চা্রীদের ব্যক্তিগত পছন্দ অপছন্দ থাকলেও প্রকাশ্যে কেহ রাজনীতি করতেন না । বড়-বড় কম’কতা’রা কেহ সচরাচর জনসমাগমে আসতেন না।কিন্তু জনতার মঞ্চের মাধ্যমে এখন আর সেই রীতিনীতি নাই।জনতার মঞ্চের নায়কদের পরবতী'তে অথ'-সম্পদ পদ-পদবীতে ফুলে ফেপে রাজকীয় জীবন যাপন করতে দেখে এখন সবাই লাজ্জ-লজ্জা ভয়ভীতি ঝেড়ে অতি সহজ পথ রাজনীতির তকমা লাগিয়ে কেবলই উপরে উঠার পথ খুজছেন।তাই আজ প্রজাতন্ত্রের কম'চা্রীর চেয়ারে বসেই কেহ কেহ কাকে ক্ষমতায় রাখতে হবে তার নসিহত করছেন। উপর থেকে মাঠ পযা'য় একই অবস্থা।দেশে আরো একটা শ্রেনী আছে যারা খুশী হয় সুশীল বলে ডাকলে। তাদের কেহ রাত কানা কেহ আবার একচোখা।মানবতাবাদী নিজেদের দাবী করলেও রুটি রুজীর ব্যবস্থা না থাকলে তারা চোখ বুঝে থাকতেই বেশী ভালবাসেন ।এই অবস্থায় গুটি কয়েক মান্যবরদের দিয়ে গঠিত নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা কি করতে পারবেন দেশের ? যদি কম্বলের পশম বাছতে যাওয়া হয় সেখানে কম্বলই কি খুজে পাওয়া যাবে?
অন্যদিকে আমাদের রাজনীতিকদের বিদেশী তোষামোদ আর বিদেশীদের খবরদারি দেখে আফসোস হয় ,এজন্যই কি ত্রিশ লক্ষ প্রাণ আর মা-বোনের ইজ্জতে কেনা আমাদের স্বাধীনতা ? রাজনীতিকরা কেহ যেন কাউকে বিশ্বাস করতে পারছে না।সবাই মেতে আছে জিঘাংসায়।তাই মৃত্যু পথযাত্রী রাজনৈ্তিক নেত্রীর চিকিৎসা নিয়েও মশকরা করতে ও আমাদের লজ্জা হয় না। ইতিমধ্যে আমেরিকা সুষ্ঠ ভোট নিশ্চিত করতে সুষ্ঠ ভোটের পরিবেশ বিনষ্টকারী আমাদের প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের ব্যাক্তিদের উপর ভিসা নীতি প্রয়োগ শুরু করে দিয়েছে।কানাডা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও একই পথে হাটতে পারে।দেশ ও জাতী হিসাবে লজ্জার ব্যাপার হ’লেও আমাদের রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের কেহ খুশীতে আটখানা কেহ আবার ঢাল-তলোয়ারহীন নিধিরাম সরদারের মতো পালটা হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছেন।রাজনৈতিক নেতাদের যে অবস্থা দেখছি তাতে নিরপেক্ষ সরকার গঠনে প্রতিনিধি নিবা'চনে একমত হতে পারবেন তা মনে হয় না।যার ফলে নিবা'চনে হেরে গেলে সেই রায় কেহ মেনে নেবে তার নিশ্চয়তা কোথায় ?
তাই কি দরকার এতো কিছু ভাববার ।যেহেতু জনগণের ভোট দেওয়ারই সুযোগ হয় না।পেশী-শক্তি আর কুটচালে নিধা'রিত হয় সবকিছু।আসুন এবার না হয় ভোটের জন্য কেসিনো কোট' এর মতো করে ভোটের কোট’ বসাই কোনো সম্মেলন কেন্দ্রে কিংবা কোনো উন্মুক্ত মাঠে।ভোটের দিন সকল প্রাথী’র উপস্থিতি বাধ্য করতে হবে।দেশের রাজনীতি শুধু রাজনীতিকদের কাছে রাখার জন্য এবং জনপ্রতিনিধি যেনো মাটি এবং মানুষের কাছাকাছি হয় সে জন্য প্রাথী’ নিবা’চনে কিছু শত’ রাখতে হবে।যেমন প্রাথী’কে অবশ্যই দলে নেতা বা কমী’ হিসাবে কমপক্ষে পাচ বছর সক্রীয় থাকতে হ’বে।কোনো প্রাথী’ দ্বৈত দেশের নাগরিক হতে পারবে না।কোনো দল রজনৈ্তিক দল হিসাবে নিবন্ধিত হওয়ার পাচ বছরের আগে নিবা’চনে প্রতিদ্বন্দীতা করতে পারবে না।প্রথমে আসন প্রতি দল নিধা'রণ করতে হবে,পরে প্রাথী' নিবাচন করতে হবে।তাতে ও যদি ঐক্যমতে পৌছাতে না পারি দেশ জাতীর শান্তির জন্য আসুন চড়কীখেলা অথবা রাস্তার পাশে টিয়া পাখি দিয়ে জন-প্রতিনিধি নিবা’চন করি।কোনো দরকার নাই ইভিএম ,ব্যালট বাক্স, ব্যালট পেপার।প্রয়োজন কি ভোটের জন্য প্রজাতন্ত্রের লক্ষ লক্ষ কম'কতা'-কমচারী নিয়োগের ।প্রয়োজন নাই হাজার হাজার গাড়ীর জন্য লক্ষ লক্ষ লিটার তেল পোড়ানোর। কি প্রয়োজন আছে হাজার হাজার টন কাগজ ছাপানোর?প্রয়োজন থাকবে না রাতের আধারে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করবার গায়েবি মামলার আসামী ধরতে দরজায় পদাঘাত করে কারো ঘুমের ব্যাঘাত করবার।প্রয়োজন হবে না প্রাথী’দের নিবা’চনে জয়লাভের জন্য কোটী টাকার খরছ করবার ।দরকার কি রাস্তায় রাস্তায় বিভিন্ন দলীয় কমী'বাহিনীর মাঝে মারামারি খুনা-খুনি দেখবার। একবার ভাবুনতো ,এমন হলে কেমন হয় ?
https://www.youtube.com/channel/UCO9Em15PgixJY8mgVh78rjA