Thursday, February 28, 2019

চেতনাবোধ উঠে না জাগি

একটু কুটুক্তিতেই  হয় মানহানী
জাগে বিশেষায়িত বিবেক বুদ্ধিমান
যত্তসব বুদ্ধিমতি নারীর।
বিচার হইতেই হবে
নতুবা যে হবে ক্ষুন্ন নারীর অধিকার ।
সুবন'চরের এক অখ্যাত নারী
চার সন্তানের জননী
লাঞ্চিত  ধষি'ত নিজ বসত ভিটায়
সামনেই বন্দী ,
অসহায় পতি, তার নিজেরই  সন্তান।
কোথায় সেই  সুশীল সমাজ
সুবিধাভোগী চামচার দল
একটু কিছুতেই যারা তোলে রব
দেশ জাতি মানবতা
সবই যায় বুঝি রসাতল।   
তারা কি আজ বধির, অন্ধ
লাজ লজ্জাহীন ?
ভাবছো হতদরিদ্র সে নারী
যার না আছে মান, না আছে বিত্ত বৈভব  
ঘাটাঘাটির কি আর দরকার,
ভরশা নাই সেখানে খুদ কুটো মিলবার।
নাকি ভেট পদ পদবীতে  
তোমরা আছো আপ্লুত বড় বেশী
তাই চেতনাবোধ উঠে না জাগি।
Facebook : ০৩/০১/২০১৯ ইং ঢাকা।  
https://youtu.be/IQPUPWUqv48

বোঝেনা ফারাক

যুবকের পরিচয়,
সে একটা স্বাধীন  দেশের নাগরিক
যার জন্য ত্রিশ লাখ বীর দিয়েছিল প্রাণ।
স্বপ্ন ছিল নেতার,
সবাই মিলে গড়বে,
সোনার বাংলাদেশ ।
খাবে ,হাসবে খেলবে
কইবে কথা প্রাণ খুলে, ক্লান্তিতে
ঘুমাবে নিজ ঘরে নিশ্চিন্তে ।
মামলা,হামলা গুমে আজ,
শান্তিতে নাই কেহ
আটচল্লিশ বছরে তাই,
দাড়ায়ে কাঠগড়ায়
সে বোঝেনা ফারাক
স্বাধীন আর পরাধীনতার।
খুবই গুরুতর অপরাধ,
শাসকের বিরুদ্ধে কথা বলার।
সদ্য রিমান্ড ফেরত
শোষকের লোকের বড়ো  আদরে
সে নাই আর নিজের ভেতর ।
তবুও আবার চাইছে রিমান্ড , নাকি
আরও একটু প্রয়োজন আছে
গোপন তথ্য জানবার।
চাল নেই ,চুলা নেই যার
নেই মাথা গোঁজার ঠাই,
আছে কি তথ্য পায়নাকো খুঁজে
বাকি তাদের দেবার ?
উপদেশ ছিল সবার
বড় উকিল ব্যারিস্টার ধরবার,
দেয় নাকো মত, কি আছে দরকার,
কে দেবে অথে’র যোগান  ?
ভাবে চারপাশে উদ্দী’ধারী যারা,
জজ, ব্যারিস্টার, উকিল মোক্তার
আমারই ট্যাক্সে চলে যাদের
অন্ন বস্ত্র বাসস্থানের যোগান।
হায়রে অভাগা জনগণ ,
ভেট,পদ ওপদবীর লোভে
সব আজ শোষকের ক্রীতদাস।
আইন-কানুন কি মিছা সবই
শশব্যস্ত,  সব সুবিধাভোগী,
করতে শোষকের  ইচ্ছার বাস্তবায়ন ।
প্রাণটাও যদি যায় চলে,
ভাবনা কিসের ?
ডাক্তার বলে দেবে ,বেটা  ছিল হাটে’র রোগী
ফেল মেরেছে ,তাই প্রাণটা গেছে চলি।
প্রতিবাদ কেউ নাই করবার
সাহস নাই চাইবার প্রমাণ।
কি নারকীয় উল্লাসে,
রিমান্ডের নামে মেতেছিল
কিছু মানবরুপী দানব,
নিরপরাধ প্রতিরোধহীন দেহের উপর ।
প্রবাদ ছিল বটে,
লতি চোরার ফাসি হয়নাকো এ দেশে।
ডিজিটাল যুগে ,পাল্টেছে রীতিনীতি
লতি চোরায় ফাসিতে ঝোলে
ব্যাংক ডাকাত  হাসে বড্ড সুখে থাকি ।
হে সুবিধাভোগী ক্রীতদাস,
অতি উৎসাহী জন,
কার জন্য বিকায়েছো বিবেক
ন্যায় নীতি ধুলায় লুটায়ে
গড়িছো অথ’ সম্পদ ?
ভাবিছো কখনো,
কি হবে পুত্র-ক্ণ্যা জায়ার
সময়ের ব্যবধানে, যদি যায় ফেসে
তোমারই রেখে যাওয়া একই ফাঁদে?
সময় যাচ্ছে চলে  
পাপের বোঝা বাড়িছে  দিনে দিনে।
হে ঘাতক  কার তুষ্টিতে,
কাকে তুমি করিছো হত, ক্ষত-বিক্ষত।
সেতো তোমার ই আপনজন
বাংলা মায়েরই সন্তান,তারই  
ফেলিছো লাশ নদী , নালা খালে
করিছো রক্তে  লাল, সবুজের মাঠ।
ফিরে যাই ৭১ সালে, ভাসে চোখে  
এমনটি ছিলো পাকহানাদারের কাজ।
Facebook : 24/11/2018https://youtu.be/IQPUPWUqv48