Friday, November 13, 2020

রাজনৈতিক আশ্রয় প্রশ্রয় বন্ধ করতে হবে

ধমী' বিধি-বিধান মেনে বিবাহের পর নারী-পুরুষের যৌন-সম্ভোগ বৈধ কিন্তু একই কম' বিবাহ বহির্ভূত হলে তা আমাদের পারিবারিক, সামাজিক এবং ধমী' বিধান মতে অবৈধবিয়ের জন্য কাউকে প্রলুব্ধ করতে অথবা কোনো কিছুর বিশেষ উদ্দেশ্যে কোনো নারী যদি কোনো পুরষের কাছে নিজে গিয়ে যৌন-সম্ভোগে লিপ্ত হয় তা অবৈধ এবং ব্যাভিচার,যার জন্য উভয়ই সমান অপরাধীতাই উদ্দেশ্য হাসিলে ব্যথ'হয়ে পরবর্তীতে নারীর পুরুষের বিরুদ্ধে অথবা পুরুষ নারীর বিরুদ্ধে (যদিও এখনো শুনি নাই)ধষ'ণের মামলা হাস্যকর নয় কি?

মুুখ্য-সুখ্য মানুষ এতো দিন তো জানতাম জোরপুব' যৌন-সম্ভোগ ধষ'ণ। তা'হলে স্বেচ্ছায় যৌন-সম্ভোগ/ব্যাভিচার করে মামলা হয় কিভাবে? আবার লাজ্-লজ্জার মাথা খেয়ে প্রেস ক্লাবের সামনে প্রকাশ্য দিবালোকে পোস্টার লাগিয়ে নিজের ব্যভিচারের বিচার চাওয়া? যেনো সেই গ্রামীন কথা এক কান যার কাটা সে চলে রাস্তার এক পাশ দিয়ে আর যার দুই কান কাটা সে চলে রাস্তার মাঝ খান দিয়ে।মানুষ যে কেনো থু থু দেয় নাই বুঝিনা।এঅবস্থা দেখে মনে হচ্ছে যে মা-বোন ,যে মেয়ে দস্যুতার জবরদস্তির কাছে হার মেনে লাঞ্চিত ধষি' 'লো সে কিনা বিচার না চেয়ে লাজ্জ-লজ্জায় পালিয়ে মুখ লুকাচ্ছে, অন্যদিকে স্বেচ্ছায় অসামাজিক ব্যভিচার করে বিচার চাওয়ার নামে প্রকাশ্যে নিজ প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত হয়ে আত্নীয়-স্বজনকে একটা বিব্রতকর অবস্থায় ফেলছে।বাবা-মা নিশ্চয় বর খুজতে টাকা পয়সা খরচ করে ভাসি'টিতে পাঠায় নাই।আগেই এসব ভাবার দরকার ছিলো।বিয়ের দায়িত্বটা বাবা-মায়ের উপর দিয়ে সু-সন্তান হিসেবে তাদের উপর নিভ' করা উচিৎ ছিলো বৈকি। 

কেহ কেহ আবার এই সুযোগে খন্ডিতভাবে আব্রু তথা নারীর পদা' উপর ইসলামের বিধিনিষেধ নিয়ে ফায়দা লুটায় চেষ্টায় ব্যস্ত।ইসলামে নারীকে যেমন পদ্দা'করতে বলা হয়েছে তেমনি পুরুষকে তার চোখকে নিয়ন্ত্রণ করতে বলা হয়েছে।হেফাজত করতে বলা হয়েছে উভয়ের লজ্জাস্থানকে। পুরুষের প্রথমবার নারীর দিকে দৃস্টি কোনো ভাবে গেলেও সাথে সাথে  সেই  দৃস্টি নত করতে বলা হয়েছে যাতে দ্বিতীয়বার দৃস্টি সেদিকে না যায়

ধষ' সেই আদিকাল থেকে শ্রেফ দুব'লের উপর সবলের অত্যাচার,বিরোধী পক্ষ্যকে দমন করার অমানবিক হাতিয়ার। আমার মতে পদ্দা'হীনরা যতোটা না ধষী'তা হয় তার চাইতে বেশি সেচ্ছায় ব্যভিচারে লিপ্ত হয়।বরং পদ্দা'শীন অসহায় নারী খুব বেশী ধষ'ণের শিকার হয়।আগে আইন আদালত অনেক পরে,এলাকায় মুরব্বিদের সবাই সমীহ করতেন তাদের সামনে অন্যায় করতে ভয় পেতেন।এখন নীতি নৈতিকতার শিক্ষার অভাবে সমাজ সংসার একেবারেই ভেঙে চুরমার।রাজনৈতিক চ্ছত্রছায়ায় এবং বিচারের দীর্ঘ সুত্রিতায় অন্যায়  অবিচার  অনাচার বেড়েছে দুরন্ত গতিতে। গতি থামাতে ধমে' ছত্রছায়ায় নীতি-নৈতিকতার শিক্ষা দিতে হবে তাতে কোনটা শালীন আর কোনটা অশালীন,কোনটা ন্যায় কোনটা অন্যায় তা বুঝতে পারবে। দুনিয়ায় এমন কোনো ধম'নাই যেখানে অন্যায় অবিচার অনাচার করতে শিক্ষা দেয়। অন্য দিকে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রশ্রয় বন্ধ করতে হবে।শুধু  আইন করে নয় আইনের দ্রুত যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় কোনো ভাবেই সম্ভব নয় অন্যায়,অবিচার, অনাচার রোধ করা। অনেকে আবার বলে বসবেন ধম' যদি নীতি নৈতিকতার শিক্ষা দেয় তা'হলে ধমা'লয়ে ধম' গুরুরা কেনো  অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়। মানুষ কাম-ক্রোধ লোভে আসক্ত হয়ে অন্যায় অপরাধ করবে তার জন্য স্থান কাল পাত্রের প্রয়োজন হয় না তা সে সুদূর চাদে গিয়ে করতে  পারে। কেবল তা রোধ করতেই রয়েছে রাষ্ট্র,করা হয় আইন কানুন বিধি বিধান।তা বাস্তবায়নে আছে রাস্ট্রীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান যদি ব্যথ'হয় দায়িত্ব পালনে অথবা শৈথল্য থাকে তা প্রয়োগে  তখন অপরাধ করার প্রবনতা বাড়বে বৈ কমবে না 

https://youtu.be/IQPUPWUqv48