রাজনৈতিক
নেতা কিছু উচ্ছিষ্টভোগী সুবিধাভোগী তথাকথিত বুদ্ধিজীবিদের উচকানী, অতি উৎসাহী প্রজাতন্তের
কম’কতা’দের জিঘাংসায় নিভে'জাল
ছাত্রদের অরাজনৈতিক কোটা আন্দোলনে পুলিশ,
বিজিবি, ছাত্র লীগ,যুবলীগের
চতু’মুখী পৈশাচিক বব্ব'তা , নিবি'চার গুলিতে ছাত্র
নিহত, শোকে-ক্ষোভে -দ্রোহের আগুনে রাস্তায় দল-মত
নিবি’শেষে ছাত্র জনতা আবাল
বৃদ্ধ বনিতা।দমন পীড়নে আকাশে হেলিকপ্টার নিচে
সাজোয়া যান। মহু'মুহু' গুলি টিয়ার
শেল সাউন্ড গ্রেনেড রক্তাক্ত
আহত নিহত আমাদের কারো
ভাই ,কারো পিতা কারো
স্বামী কারো বুকের ধন একমাত্র সন্তান। রক্তে
লাল রাস্তার কালো পিচ, মায়ের
আচলের সবুজের মাঠ।
কারা এই ঘাতক ক্রীতদাস
? দেখি মুখে তাদের পৈশাচিক
হাসি, এরা স্বদেশী
নাকি ভিনদেশী ? একি রক্ত পিপাসু দানব
কতৃক অবরুদ্ধ ফিলিস্তিন-গাজা নাকি কাশ্মীর
? স্মরণে আসে ১৯৭১ সাল এমনি ছিল পাকহানাদারদের
কাজ। একি ত্রিশ
লাখ শহীদের রক্ত,
হাজার মা-বোনের ইজ্জতে
কেনা আমার স্বাধীন বাংলাদেশ ? ভাবতে
বড় কষ্ট হয় আজ।
বীরত্ব ও ত্যাগের জন্য মুক্তি যোদ্ধাদের জন্য ১৯৭২ সালে সরকারি চাকুরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে ইনটেরিম রুলস এ ৩০% কোটা নিয়ে কেউ কখনো আপত্তি তুলেছে বলে জানা নাই। কিন্তু হঠাৎ নাতি পুতি কে কোটায় অন্তর্ভুক্ত করে সাব'জনিন গ্রহণীয় ইস্যুকে রাজনৈতিক লেবাস লাগিয়ে কম বেশি দুই লাখ মুক্তি যোদ্ধা পরিবারকে ১৮ কোটি মানুষের প্রতিপক্ষ করিয়ে মুক্তি যোদ্ধাদের বীরত্ব এবং সম্মানকে হেয় করার চেষ্টা করা হয়েছে।সাম্য এবং গনতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ জয়ি বীর মুক্তিযোদ্ধা আমাদের স্বাধীনতার গব’ সন্মানের নাম।বিচ্ছিন্নভাবে অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধা ছাত্রদের যৌক্তিক আন্দোলনে সংহতি জানিয়েছেন।কিন্তু বীর মুক্তিযোদ্ধাদের একটা প্রতিনিধিদল যদি ছাত্রদের যৌক্তিক আন্দোলনে এবং গণদাবীতে পাশে দাড়াতেন সরকার এবং তার অঙ্গ সংগঠন হয়তো তাদের কঠোর মারমুখী অবস্থান থেকে সরে আসতেন।
আদালতের রায়ের পর আজ শুধু কোটা সমস্যার সমাধান করলেই হবে না। ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কারীরা বলেছেন এতো মৃত্যু এতো রক্তের বিনিময় কোটা সংস্কার তারা চাইনি। কিছু দায়ীত্বশীল নেতাদের গুয়াতুমী আর দাম্ভীকতায় এতো বিপুল সংখ্যার হতাহতে মানুষের ক্ষোভ এতো সহজে প্রশমিত হবার কথা নয়। সময়ের কাজ সময়ে না করায় পরে কঠোর ও নিষ্ঠুরতম আচরণে সাধারণ মানুষের কাছে সরকার তার গ্রহণযোগ্যতা অনেক বেশি হারিয়ে ফেলেছেন । ছাত্ররা দেশের যে কোনো পরিবর্তনে যে মুখ্য ভুমিকা পালন করতে পারে এবারো তা প্রমাণ করে দেখিয়েছে।আশা করি সব কিছুতে বিএনপি জামাত না দেখে সঠিক এবং সব্ব’সাধারণের কাছে গ্রহণযোগ্য তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের দৃস্টান্তমুলক শাস্তির ব্যবস্থা করবেন। উল্লেখ্য বগুড়ায় নিরিহ ছাত্রকে সরাসরি গুলি করতে সবাই দেখেছে এখানে আত্মরক্ষায় গুলি করা হয়েছে বলার সুযোগ আর নাই। সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের তৈরী থাকার উচকানিতে ছাত্র-ছাত্রীদের উপর বব্ব'তায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা যে অংশ নিয়েছিলো সাধারণ মানুষ তা জেনেছে, কাদের হাতে অস্ত্র ছিলো বিভিন্ন পত্রিকায় তার ছবি এসেছে।কারা ছাত্র-ছাত্রীদের উপর বব্ব'তা চালিয়েছে তা মিডিয়ার বদৌলতে মানুষ দেখেছে ।শুধু দেখে নাই জাতীয় সম্পদ ধংসের নাশকতায় ঘটনাস্থলে নাশকতা চালানোর কোনো দৃশ্য কিংবা শুনি নাই আইন শৃংখলা বাহিনী নিরীহ, নিরস্ত্র শান্তি পুন্য' বিক্ষোভকারী হত্যার মতো করে নাশকতাকারী কাউকে ঘটনাস্থলেই হতাহত করতে।একটা বড় প্রশ্ন মনে থেকে যায় অবস্থার অবনতিতে বিজিবিকে সাজোয়া যান সহ আন্দোলনকারী নিরস্ত্র ছাত্র-ছাত্রীদের মুখোমুখি করা হলো কিন্তু কেপিআই প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আগ থেকে নিরাপত্তা জোরদার করার ব্যবস্থা নেওয়া হলো না কেন? সম্পদের জন্য এতো আহাজারি করতে পারছি অথচ এতো বেশি সংখ্যক হতাহতের জন্য রাস্ট্রীয়ভাবে দু:খ প্রকাশ করা আপনজন হারা পরিবারের প্রতি সহানুভূতি জানানোর সৌজন্যবোধ দেখাতে পারলাম না কেন ?
প্রধানমন্ত্রী সহ তার সভাসদ কোটা আন্দোলনে ৩য় পক্ষের কথা বলেছেন । এই আন্দোলনকে ইস্যু করে দেশের রাজনীতিতে বিরোধী দল নিমু'লে নামা ঠিক হবে না। আবার দেশের গুটি কয়েক দাড়ি টুপি পাগড়িধারী অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী দেখিয়ে দেশকে বিদেশীদের কাছে জঙ্গী আশ্রয়ী দেশ হিসাবে প্রচার ভবিষ্যতে দেশ ও জাতির জন্য তা হিতে বিপরীত হতে পারে। এরকম জঙ্গীদের চাইতে অনেক বেশি অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী আমদের দেশের কলেজ - বিশ্ববিদ্যালয় সহ সারা দেশে রাজনৈতিক চ্ছত্রছায়ায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। সব চাইতে বড় কথা এদেশের গুটিকয়েক মানুষ ছাড়া (যদি থাকে) দল মত নিবি'শেষে সবাই জঙ্গীবাদ/মৌলবাদ ও সন্ত্রাসবাদ বিরোধী।এদেশে জঙ্গীবাদের আবাদ হবার নয় তবে সজাগ থাকতে হবে তাতে কোন সন্দেহ নাই। বরং ভাবা উচিত আমার দেশ কি কোন ভীনদেশী চক্রান্তে আটকে গেছে ? কোটা আন্দোলন ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে ,জাতির মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করে, জাতির প্রতিবাদের শক্তি ধংস করে, মেরুদন্ডহীন জাতিতে পরিণত করে তারা কি তাদের কোন এজেন্ডা বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে চায় এবং তা এই দেশেরই কারো না কারো সক্রিয় সহযোগিতায় ?
অনেক বেশী মুল্য দিতে হলো জাতিকে।আশা করবো সরকার কেবল আদালতের কোটার রায়ই বাস্তবায়ন করবেন তা নয় সারাদেশের শান্তি এবং সরকারের হারানো গ্রহণ যোগ্যতা পুনঃ উদ্ধারে নিহত /আহত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের ক্ষতি পুরন সহ ছাত্রদের অন্যান্য দাবি মেনে এবং তা কায'কর করতে প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ ও ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে আলোচনায় বসে অতি দ্রুত তাদের পড়ার টেবিলে পাঠানোর ব্যবস্থা নিবেন । সেই সাথে তার অতি বাচাল অতি উৎসাহী নেতা এবং প্রজাতন্তের কম’ক্তা’দের কম’কান্ড ও মুখের লাগাম টানবেন দেশবাসির সেটাই এখন একান্ত কামনা।
23/07/2024
https://www.youtube.com/channel/UCO9Em15PgixJY8mgVh78rjA