Saturday, April 4, 2020

যেনো একটা শান্তির আবাস গড়তে পারি

ভুল যদি না হয় একটু খানি টেলিভিশনে দেখলাম ক'দিন আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মিটিংয়ে সরকারের রোগতত্ত্ব,রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট-আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা কয়েকটা বিষয়ের সাথে বলেছিলেন যে প্রতিদিন আইইডিসিআর করোনা সংক্রান্ত যে আপডেট দেন তাতে অনেকে বিশ্বাস রাখতে পারছেন না।সত্য,কথাটা মিথ্যা নয়।আইইডিতসিআর ঘোষণায় আক্রান্ত সংখ্যা বিশ্বাস করতে অনেকেই পারছেন না আবার এটাও অতি সত্য দেশে মানুষ বেশি বেশি আক্রান্ত হওক এটাও কেহ কামনা করে না।কারণ আর কিছুই নয় করোনা নিয়ে গুটিকয়েক কতা'ব্যক্তির অতি বাচালতায় এবং আগাম সতক'তা সত্ত্বেও যথা সময় সেবাকমী'দের প্রয়োজনীয় পিপিই,রোগ শনাক্ত করণ টেস্টকিট যোগান দিতে না পারায়,হাসপাতাল গুলির অগোছালো অবস্থা,কতৃপক্ষের অব্যাবস্থাপনায় রুগীদের প্রতি অবহেলায় তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছেন।এখন ব্যাক্তি,বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান,পেশাজীবি সংগঠনের দ্রুত করোনা উপদ্রুত জনপদে ঝাপিয়ে পড়ায়,চীন থেকে মাস্ক পিপিই ও টেস্টকিট সাহায্য পাওয়ায়,সেনাবাহিনী মাঠে নামানোতে এই মুহুর্তে সম্ভবতঃ বলা যায় সরকার করোনা প্রতিরোধের অপ্রস্তুত অবস্থা কাটিয়ে উঠতে পেরেছেন।
ভুল হয়নি কিংবা ছিলো না তা নয় অনেক হয়েছে।আবার এটাও ঠিক রোগের যে ব্যাপ্তি,ব্যাপকতা তার তূলনায় আমাদের দেশের স্বাস্থ্যখাতের অবস্থা যে একেবারেই যাছ্ছে তাই তাতে কোনো সন্দেহ নাই।পৃথিবীর বড় বড় দেশ এমনকি আমেরিকা যেখানে হিমসিম খাচ্ছে সেখানে আমাদের কথা আর বলার কি থাকতে পারে।সম্ভতঃ মাচে'চীনা রাস্ট্রদুত আগাম হুসিয়ারী দিয়েছিলেন আমরা আক্রান্ত রূগী পাওয়ার পরও সতক'হতে পারিনি বরং সাতই মাচ'সমাবেশ করেছি এবং মুল অনুস্ঠান বন্ধ করলেও সতের মাচ'আতসবাজি পোড়ানো দেখতে দল বেধে জমায়েত হয়েছি।বিদেশ ফেরতদের যথাযথ পরীক্ষার ব্যাবস্থা না করা এবং তাদের কোয়ারেন্টাইনে রাখার যথোপুযুক্ত ব্যাবস্থা না করতে পারায় সৃষ্ট বিশৃংখলার দায় এড়ানো যাবে না।স্কূল কলেজ আগেই বন্ধ করা উচিত ছিলো করিনি আবার যখন বন্ধ করা হলো তখন আমরা সবাই দলবেধে ঘুরতে গেলাম।মনে করি পরম করুনাময় আল্লাহতালার অশেষ রহমতের কারণে এতো এতো খাসলত খারাপের পরও এখনো আমরা বাংলাদেশের মানুষ অনেক অনেক ভালো আছি।   
একটু ভাবুন করোনা শুধু কি মরণব্যাধী?নাহ আমার কাছে তার ভালো কিছুও দিকও আছে মানুষের শিক্ষা নেওয়ার।সে কি আমাদের ধনী গরীব সবার জন্য সমান আতংক নিয়ে আমাদেরকে শিক্ষা দিচ্ছে না।ন্যায় অন্যায়ের বাচ বিচার না করে যে টাকার পাহাড় গড়া হয়েছে আক্রান্ত হলে তা কোনো কাজে লাগবে না,দেশ ছেড়ে উন্নত চিকিতসা নিতে বিদেশে উড়াল দেওয়া যাবে না।এমন কি যাদের ভবিষ্যত এর জন্য এতো টাকার পাহাড়,আক্রান্ত হলে সেই আপনজনও পাশে থাকবে না।পরাশক্তি বড় বড় দেশ তার নেতারা,সারা পৃথিবী আজ ধরাশায়ী অতি ক্ষুদ্র একটা জীবানুর কাছে।বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল বিএনপির জন্য হয়েছে শাপে বর হাজার চেষ্টা করেও তাদের নেত্রীকে যে প্রক্রিয়ায় শত চেষ্টায়ও এতোদিন মুক্ত করতে পারে নাই সেই প্রক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বিবেচনায় শত'সাপেক্ষে তাদের নেত্রী মুক্ত হলেন।এখানেও আছে মানবতা মহানুভবতা।তবে একইভাবে যদি সকল বিনা বিচারে আটক বন্দীদের মুক্তি দিতেন আরো উত্তম হতো।জাতির জনকের জন্ম শতবর্ষ পালনে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আগমণ এবং তা প্রতিহত নিয়ে সারাদেশে ছিল টান টান উত্তেজনা।সব অনুষ্ঠান বাতিলের সাথে মোদির আগমনও বাতিল হলো।তা না হলে হয়তোবা এতোদিনে করোনা আক্রান্ত হয়ে যতোনা মানুষ আক্রান্ত/নিহত হয়েছে তার চাইতে বেশি কিছু হতে পারতো মাত্র একদিনে।শুধু কি তাই গোটা বিশ্ব নেতৃবৃন্দ পরিবেশ রক্ষায় বছরের পর বছর হাজার চেষ্টা করেও যা করতে পারেনি করোনা প্রতিরোধে লকডাউন প্রক্রিয়ায় সারা দুনিয়া থমকে যাওয়ায় সাময়িক হলেও আজ প্রকৃতিতে পরিবেশ বান্ধব বিধিবিধান বাস্তবায়িত হয়ে গেছে।করোনা পূব'পরিবারে,সমাজে,দেশের জনপদে হত্যা,ধষ'ণ,বব'তা নৃশংসতার খবর শুনতে শুনতে ভুলে যেতে বসেছিলাম মানবতার কথা।আজকে মানুষের পাশে মানুষকে সাহায্য নিয়ে দাড়াতে দেখে ভাবি করোনা না এলে এই সুন্দর জিনিসটাতো দেখা হতো না।ব্যতিক্রম যে নাই তা নয় সতের কোটি মানুষের দেশে এই দু'দিনে দু-চার দশটা লোভী অমানুষ দারা কিছু যে অনিয়ম হবে না তা-নয়।শুধু প্রয়োজন তা শক্ত হাতে দমন।
বিশেষজ্ঞদের অভিমত আমাদের সামনে চলমান সময়ের কয়েকটি দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।ইতিমধ্যে টেস্ট বাড়ানোতে রুগীও বেড়েছে।তাই এখন কাউকে দোষারোপের সময় নয়।একে অন্যের দোষ বের করা দুনিয়ার বোধহয় সবচাইতে সহজতম কাজ আসুন সবাই তা থেকে বিরত থাকি।তার চেয়ে চলুন নিজ নিজ অবস্হান থেকে সামথ্যে'র ভেতর চেষ্টা করি একটা হলেও অসহায় মানুষের দিকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে।তা যদি নাও পারি জানা মতে কোন অসহায় ব্যাক্তি/পরিবারের খবর কোনো জনপ্রতিনিধি অথবা স্বেছ্ছাসেবী সংগঠনের নিকট পৌছাতে চেস্টা করি।কোনোভাবেই মিথ্যা খবর,গুজব মানুষের মাঝে ছড়ানো থেকে বিরত থাকি।সবাই সরকারের দেওয়া বিধিনিষেধ মেনে চলি।বিশেষ করে সামাজিক দুরত্ব মেনে চলে করোনার বিস্তৃতি রোধ করে,করোনা যুদ্ধের সম্মুখ যোদ্ধা অসংখ্য ডাক্তার নাস'স্বাস্থ্যকমী'পুলিশ,সেনাবাহিনী প্রশাসনের লোকজন স্বেচ্ছাসেবক,পরিছ্ছন্নতাকমী'যারা নিজের ঘড় সংসার স্ত্রী সন্তান ফেলে রোগ বিস্তার রোধে,খাদ্য সহায়তা দিতে আতংকিত জনপদে মানুষের সেবায় নিয়োজিত তাদের সহযোগিতা করে নিজের এবং পরিবারের সবাইকে শংকা মুক্ত রাখি।কোনো সন্দেহ নাই অন্যান্য দেশের তুলনায় অতি ঘনবসতিপুন'বিশৃংখল জনপদ হিসেবে বাংলাদেশকে আল্লাহতালা এখন পয্য'ন্ত অনেক ভালোই রেখেছেন।আমরা চাই সত্য মিথ্যা যাহাই হওক আর যেনো কেহ আক্রান্ত না হয়।আল্লাহ চায় তো আমরা এ যাত্রা করোনার আগ্রাসী ছোবল থেকে বেচে ও যেতে পারি।প্রাথ'না করি করোনা বিতারিত হয়ে আতংকিত জনপদে ফিরে আসুক আবার কম'চঞ্চলতা।আসুন সবাই সেই সুদিনের জন্য পরম করুনাময় আল্লাহ তালার নিকট ক্ষমা প্রাথ'না করি শুকরিয়া আদায় করি।সবশেষে অনুরোধ থাকবে আগামীর সেই সুদিনে ব্যাথ'তার দায় ঝেড়ে ফেলে চাপাবাজ মহোদয়গন অতি দাম্ভিকতায় আল্লাহর রহমতকে অস্বীকার করে দয়া করে বইলেন না আপনারা করোনার চাইতেও অনেক শক্তিশালী ছিলেন।আপনারাই যথা সময়ে যথাযথ শক্ত প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেওয়ায় করোনা সারা দুনিয়াকে পরাস্ত করতে পারলেও বাংলাদেশকে পারে নাই।তার পরও চাই বাংলাদেশের মানুষের সাথে সারাবিশ্বের মানুষ সবাই আমরা ভালো থাকি সুস্থ থাকি৷নিজেদের গব'ক্ষমতার দাম্ভিকতা পরিত্যাগ করে করোনাত্তোর শুধুমাত্র আমাদের দেশ নয় পুরা পৃথিবীকে সকল হানাহানি বন্ধ করে যেনো একটা শান্তির আবাস গড়তে পারি।