দেশকে অরাজক অস্থিতিশীল করতে তিলকে তাল করা হচ্ছে। সব জায়গায় সবাই মিলে মিশে মন্দির -গিজা', প্যাগোডা বাড়ি ঘর পাহাড়া দিচ্ছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, ব্যক্তিগত শত্রুতায় ধম'-বণ' নিব্বি'শেষে কেউ না কেউ রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে আক্রান্ত হয়। ব্যক্তিগত/রাজনৈতিক আক্রমণকে সাম্প্রদায়িক রুপ দেওয়া ঠিক না। যারা করে তারা দেশ ও জাতির শত্রু তাতে কোনো সন্দেহ নাই।
এদেশ ধম' বণ' নিব্বি'শেষে সকলের সমান অধিকারের বাংলাদেশ।সবা'গ্রে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করে দুষ্টের দমন দাবী করা উচিৎ।দলকানা অতি-উৎসাহি পুলিশ কম'কতা'দের দিয়ে পুলিশ বাহিনীকে নিরীহ-নিরস্ত্র ছাত্র -জনতাকে হত্যার মাধ্যমে পুলিশকে জনগণের প্রতিপক্ষ বানিয়ে হাসিনা নিয়মতান্ত্রিক উপায় পদত্যাগ করে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে চোরের মতো পালিয়ে যাওয়ায়, জনরোষে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব থানা, পুলিশ শুন্য হওয়ায় সারাদেশে প্রশাসনিক শূন্যতা দেখা দিয়েছে
ইনটেরিম সরকার যখন আপ্রাণ চেষ্টা করছেন শান্তি ফিরিয়ে আনতে তখন চারিদিকে কেবল সবাই দাবি আর দাবি নিয়ে হাজির যা কাম্য নয়। আন্দোলনরত হিন্দু ভাইদের একজনকে বলতে দেখলাম তাদের দাবী যদি মানা না হয়, তাদের নিরাপত্তা যদি না দেওয়া হয় তারা সবাই ভারতে চলে যাবে।যেহেতু তারা বাংলাদেশে থাকতে পারছে না ভারতেও মুসলিমরা থাকতে পারবে না।এমন হুমকি দেশ-প্রেমিক কারো কাছ থেকে কাম্য নয়।বলতে পারবেন আপনার প্রতিবেশী মুসলিম ভাই কি সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে নিরাপদ?বিরোধী রাজনীতি করায়,কিংবা ব্যক্তিগত আক্রোশে, কিংবা দুব'ল হওয়ায় তাদের বাড়ি, তাদের পরিবারের কেহ কি নিরাপদ?
ইতিমধ্যে আল-জাজিরার সংবাদমাধ্যম দেখলাম বাংলাদেশের বিষয় তিলকে তাল করা প্রপাগাণ্ডায় ভারতের কিছু মুসলমানদের উপর হিন্দুত্তবাদীদের আক্রমণের খবর। বিবিসি র Facts Finding এ জানানো হয়েছে বাংলাদেশ বিষয় প্রপাগান্ডার অধিকাংশ আইডি ভারত থেকে করা হচ্ছে। জানতে মন চায় যারা নিরাপত্তার দাবিতে সদলবলে ঢাকার শাহবাগে, বিভিন্ন বড় বড় শহরে শো-ডাউন করছেন তারা কি বলতে পারবেন ঢাকায় কোথায় কোথায় হিন্দুদের উপর আক্রমণ হয়েছে?তারা আক্রান্ত এলাকায় সংগঠিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাড়িয়ে নিরাপত্তা দিতে না গিয়ে ঢাকার শাহবাগ বড় শহরে শো ডাউন করতে দাড়ালেন কেন ? উদ্দেশ্য কি জাতি ধম' নিব্বি'শেষে আমাদের ছেলে-মেয়েরা যে বিজয় অজ'ন করেছে তা ভুলুন্ঠিত করে "আগে ভালো ছিলাম " কথা প্রতিষ্ঠিত করা?সাংবাদিকরা যখন আন্দোলনকারী একজনকে প্রশ্ন করলেন আপনি কোন থানা থেকে এসেছেন তিনি নিজ থানার নাম বলতে পারলেন না উল্টো প্রশ্ন কারীর উপর মারমুখী হওয়ার কারণ কি? বলতে পারবেন ভারতের মুসলমানদের উপর সরকারের মদদে এমন কোনো নিপীড়ন নিযা'তনের পন্থা বাকি নাই, যেভাবে ফিলিস্তিনিদের উপর ইজরাইলীরা নিপীড়ন নিযা'তন করছে। কিন্তু কোনো মুসলমান কি কখনো বাংলাদেশে কিংবা পাকিস্তানে কিংবা আফগানিস্তানে কিংবা মায়ানমারে গেছে? একজন ও যায় নাই। কারণ তারা তাদের জন্মভুমি ভারতকে ভালোবাসে।আসুন আমরাও আমাদের দেশটাকে ভালো বাসি, সম্মিলিত ভাবে দেশটাকে নতুন ভাবে গড়ি।কেহ যেন কোনো ভাবে দেশি-বিদেশি কারো ষড়যন্ত্রের হাতিয়ার না হই।আসুন সবাই হাতে হাত ধরে রুখে দাঁড়াই, যে কোনো সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধ করি।
ইসলামে কোনো অন্যায় অত্যাচারকে অনুমোদন দেয় না।
হাদিসে আছে :
" লুটপাট করা অবস্থায় লুটপাটকারীর ঈমানের নূর ছিনিয়ে নেয়া হয়।"
“কোন লুটপাটকারী মু’মিন অবস্থায় লুটতরাজ করে না, যখন সে লুটতরাজ করে তখন তার প্রতি লোকজন চোখ তুলে তাকিয়ে থাকে।” [সহীহ বুখারী; ২৩১৩]
“যে ব্যক্তি ছিনতাই ও লুটতরাজ করে, সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।” [সুনান ইবনু মাজাহ; ৩৯৩৭, সহিহ]
সারা দেশে থানার কায'ক্রম যেহেতু শুরু হতে যাচ্ছে প্রশাসনের উচিৎ অস্ত্র উদ্ধারের সাথে সাথে অতিদ্রুত ভিসা বিহীন অবৈধ বিদেশিদের দেশ থেকে বিতাড়িত করার ব্যবস্থা নেওয়া। চারিদিকের লক্ষণে বলছে দেশি-বিদেশি চক্রান্ত এখনো চলছে।