Sunday, June 23, 2024

কম'কতা'দের কাজটা কি?

আমাদের ফেসবুকারগন আর কিছু সাহসী অনুসন্ধানী সাংবাদিকগণ কিছু কম'কতা'র এতো সব জানতে পারলে কৃষক -শ্রমিক কামার-কুমার পরিচ্ছন্নতা কমী' সহ আপামর মানুষের ট্যাক্সের টাকায় অন্ন- বস্ত্রে লালিত পালিত এসব দেখভাল করবার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রজাতন্ত্রের বিভিন্ন সংস্থার কম'কতা'দের কাজটা কি? অবস্থা দেখে বলা যায় তারা কম-বেশি সবাই জড়িয়ে গেছেন অপরাধে।সেই মানব সভ্যতার শুরু থেকেই অপরাধ ছিলো এবং ভবিষ্যতে মানব সভ্যতার ধংস পয্যন্ত' তা থাকবেই । পরিবার, সমাজ রাষ্ট্রের অপরাধ দমনে রক্ষক হিসাবে কাজ করার কথা প্রজাতন্ত্রের কম'কতা'- কম'চারীগনের। সেই রক্ষক যদি ভক্ষক হয় এবং ভক্ষণ করে পার পেয়ে যায় তখন কি আর কোনো উপায় থাকে? তাই বত'মানে অপরাধ মহামারী আকার নিয়েছে বিচারহীনতার সু্যোগে। কেহ আবার বড় কতা'র আদেশ পালনে জড়িয়ে গেছেন। কিছু যে ভালো নাই  তা নয় তারা চুপসে থাকেন প্রতিবাদ কিংবা প্রতিকারের  চেষ্টায় পুত্র-ক্ণ্যা-জায়ার ভরণপোষণের একমাত্র অবলম্বন  চাকুরী হারানো সহ নানা প্রকার হয়রানির আশংকায়। 

সম্ভবত এর কারণ গনতন্ত্রহীনতা,  রাষ্ট্র ক্ষমতা ধরে রাখতে   মাটি ও মানুষের সাথে সম্পর্কযুক্ত  রাজনৈতিক নেতা -নেত্রীহীন অযোগ্য আইন প্রনেতায় রাষ্ট্র পরিচালনায় সম্পুর্ন  আমলা নিভ'রতা। সেই জনতার মঞ্চের  নায়কদের দেওয়া একই  Give and take পদ্ধতিতে সবাই যেনো মেতে উঠেছে অথ'-সম্পদ বাড়াতে। এর থেকে পরিন্ত্রান পেতে প্রয়োজন শক্তিশালী গনতান্ত্রিক রাষ্ট্র -ব্যবস্থা, থাকবে জবাবদিহির ব্যবস্থা , প্রতিষ্ঠিত হবে  আইনের শাসন,  অথ' আর পেশীশক্তির ব্যক্তি  নয়, থাকবে মাটি ও মানুষের সাথে সম্পর্কযুক্ত যোগ্য সাংসদ,  যোগ্যতা সম্পন্ন দায়িত্ব প্রাপ্ত মন্ত্রী, দেশ পরিচালনা করবে তারাই, প্রজাতন্ত্রের আমলা কম'কতা'রা নয়। 

বিরাট  প্রশ্ন করবে কে?

https://www.youtube.com/channel/UCO9Em15PgixJY8mgVh78rjA

মাকড়সার জাল

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ৭টি চুক্তি ও নতুন সমঝোতা এবং ৩টি ম্যাদ শেষ হয়ে যাওয়ায় নবায়ন কড়া হয়েছে কিন্তু তিস্তা চুক্তি হলো না।তবে  পূরাতন কালক্ষেপন খেলায়   বাংলাদেশের তিস্তা উন্নয়ন প্রকল্প সমীক্ষার জন্য একটা কারিগরি দল পাঠাবে ভারত।দেড় দশকে পর প্রশ্ন জাগে মনে  তিস্তা চুক্তি হবে কি কোনো দিন? নাহ তার কোনো সম্ভাবনা আপাতত দেখা যায় না । যদি ও  হয় তা হবে কাগজে-কলমে, চুক্তি অনুযায়ী পানি দেবে না, দিতে  পারবেও না । তবে দেবে ভরা বষা'য় প্লাবনে ডোবাতে।

ভারত বাংলাদেশের সাথে তার অভিন্ন নদীতে উজানে বাধ দিয়ে  সংযোগ খাল কেটে সেই পানি অন্যান্য রাজ্যে অপসারণের মহা-পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সে-ই  অনেক বছর আগে এবং তা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সম্পন্ন করার কাজও চলছে জোরে শোরে।আমাদের জানা দরকার  শুধু তিস্তা ই নদী না ,তিস্তা  ছাড়া ও আর ও  ৫৩টি  ভারতের সাথে বাংলাদেশের অভিন্ন নদী আছে।কুশিয়ারা  চুক্তি হয়েছিল,  গংগা চুক্তি নবায়ন হবে হয়তো ২০২৬ সালে, কিন্তু চুক্তি অনুযায়ী হিস্যা  পাওয়া যাচ্ছে কিনা আগে সংবাদমাধ্যম প্রকাশিত হলেও এখন তা দেখা যায় না। তিস্তা সহ আরও সাতটি নদীর    পানি  ভাগাভাগির আলোচনা আছে টেবিলে এখনো সুরাহ হয়  নাই ।

২০২৩ ইং ভারতীয় টেলিগ্রাফে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়  তিস্তা নদীর পানি ব্যবহারের জন্য পশ্চিমবঙ্গে আরো দুটি খাল খনন করতে যাচ্ছে ।তিস্তা ও জলঢাকা  থেকে  পানি তোলার জন্য একটি ৩২কিলোমিটার  দীর্ঘ  খাল কোচবিহার জেলার চ্যাংড়াবান্ধা পর্যন্ত খনন  করা  হবে এবং তিস্তার বাম তীরে আরেকটি ১৫ কিলোমিটার  দীর্ঘ খাল তৈরি করা হবে এতে প্রায়  ভারতীয়   এক লাখ  কৃষক   উপকৃত হবে। শুধু  খাল খনন নয় পশ্চিম বঙ্গ  রঙ্গিত নদীতে তিস্তা লো ড্যাম, বালাসন ও রংভা নদীতে  বালাসন জলবিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরিতে প্রতিবেদন তৈরির  প্রস্তাব ও  অনুমোদন দিয়েছে।

অনেক আগ থেকেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা  বলেছেন তিস্তায় পয্যা'প্ত পানি নাই কোনো অবস্থাতেই  বাংলাদেশকে পানি দেওয়া যাবে না। তাই মোদির  বাংলাদেশ সফরে মমতার বিরোধিতায় ঢাকায় শেষ  মুহুত্তে’ও তিস্তা চুক্তি হয় নাই। আজ ভারতের হাতে তিস্তা নিয়ে এতো সব প্রকল্প যখন চলমান তখন প্রশ্ন জাগে ভারত তার নিজের স্বা্থ’ জলাঞ্জলী দিয়ে সত্যি কি পানি দেবে কখনো বাংলাদেশকে ? নাকি সেই অতি পূরাতন “ হবে ” এর তিস্তা মুলা ঝুলিয়ে বাংলাদেশকে জলে-স্থলে-অন্তরীক্ষে মাকড়সার জালের মতো জড়িয়ে ফেলতে  নতুন  নতুন সুবিধা আদায়ের  চুক্তি করতে থাকবে অনবরত ? 

বত'মান বিশ্বে অথ'নৈতিক আধিপত্য বিস্তার,সামরিক আধিপত্য বিস্তার এবং  বৈশ্বয়িক আধিপত্য বিস্তারে   কোন শত্রু কখন বন্ধু হবে আবার কোন বন্ধু কখন শত্রু হবে বলা একেবারেই  অসম্ভব হয়ে পড়েছে । এখনো সময় আছে এই মাকড়সার জাল আগামীতে দেশের নিরাপত্তা জন্য  কোনো হুমকি হবে কিনা ভাবতে হবে ।আগামীতে দেশের কোনো নেতাকে জাতীর অহংকার বঙ্গবন্ধুর মতো কোথাও  বলতে না হয় " Do'nt teach me sub-continental politics. But remember I understand  difference between co-ordination and sub-ordination."( প্রাক্তন সচিব আসাফউদ্দৌলার বক্তৃতা ইউটিউব থেকে   বঙ্গবন্ধুর   কথা সংগ্রহ করা)

https://www.youtube.com/channel/UCO9Em15PgixJY8mgVh78rjA